সাজেদা আ.লীগের দুর্দিনের কান্ডারি ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, ৩১শে অক্টোবর ২০২২


সাজেদা আ.লীগের দুর্দিনের কান্ডারি ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আমি ফুফু ডাকতাম। নিজের আন্দোলন-সংগ্রামে সব ক্ষেত্রে তাকে পাশে পেয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। 


আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে সাজেদা চৌধুরীর ওপর আনা শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, জাতীয় সংসদের মহিলা আসন-১৯ এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানসহ সাবেক সাতজন এমপি এবং বিশিষ্টজনদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা বক্তব্য দেন। সবশেষ বক্তব্য দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রতিটি কাজের সঙ্গে সাজেদা চৌধুরী যুক্ত ছিলেন। সবসময় তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করতাম। আসলে তাঁর কথা বলে শেষ করা যাবে না।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের একটি পরিবারের মতো। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে ছোটবেলা থেকে চিনতাম। তিনি আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করতেন। এজন্য তাঁকে আমরা ফুফু ডাকতাম। তিনি ঢাকায় আসার পর আমাদের বাসায় নিয়মিত আসতেন। তিনি আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে গিয়েছিলেন।


আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামে সাজেদা চৌধুরীকে পাশে পেয়েছি। সারাদেশে তাকে নিয়ে সফর করেছি। গাড়িতে করে যেতাম। একটু খারাপ লাগলে অনেক সময় তিনি আমার মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিতেন। জীবনভর স্নেহ দিয়ে তিনি আমাদের আগলে রেখেছিলেন। 


সাজেদা চৌধুরীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রতিটি কাজ তিনি সুচারুভাবে করতেন। কোনো মিটিংয়ে তাঁর এক মিনিট দেরি হতে দেখিনি। নীতি-আদর্শ-নিয়মানুবর্তিতার দৃষ্টান্ত ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবেও সফল। সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এনে দেওয়ার পেছনে তার অবদান রয়েছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে তিনিও তখন পদক পেয়েছেন।

জেবি/ আরএইচ/