অনলাইন জুয়া খেলে ভারতে ২০০ কোটি টাকা পাচার


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১লা নভেম্বর ২০২২


অনলাইন জুয়া খেলে ভারতে ২০০ কোটি টাকা পাচার
ছবি: সংগৃহীত

তিন পাত্তি গোল্ডসহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অন্তত ২০০ কোটি টাকা ভারতে পাঠিয়েছেন উল্কা গেমস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জামিলুর রশিদ।


আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আ‌য়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ চক্রের ‘মূলহোতা’ উল্কা গেমস লিমিটেডের সিইও জামিলুর রশিদ।


খন্দকার আল মঈন জানান, ২০১৮ সালে ওই সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে দেড় লাখ টাকা বেতনে কাজ শুরু করেন জামিলুর রশিদ। মুনফ্রগ ল্যাবের অনলাইন জুয়া অ্যাপ ‘তিন পাত্তি গোল্ড’- এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় গেমটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে দেশে বৈধতা দেওয়ার জন্য কতিপয় আইনজীবীর পরামর্শে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে ‘উল্কা গেমস প্রা. লি.’ নামে একটি গেমিং ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেন জামিলুর রশিদ।


২০১৯ সালে মুনফ্রগ দেশের গেমিং সেক্টরের উন্নয়নের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে উলকা গেমের ০.০১ শতাংশ প্রদানের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। দেশে গেম ডেভেলপমেন্টের অনুমোদন থাকলেও অনলাইন জুয়া/ক্যাসিনোর অনুমোদন না থাকায় উল্কা গেমস বিভিন্ন ভুল তথ্য উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আইনি বৈধতা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে। এভাবেই ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ যাত্রা শুরু করে।


মূলত একটি অ্যাপ যা মোবাইলে ডাউনলোড করে খেলা যায়। এই অ্যাপের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ মুনফ্রগ ল্যাবের কাছে রয়েছে। এই অ্যাপে ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ ছাড়াও ‘রাখি’, ‘অন্দর বাহার’ ও ‘পোকার’ নামেও অনলাইন জুয়ার গেমস রয়েছে। যে কোনো কাজের পাশাপাশি এই গেম খেলতে পারায় তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এটি জনপ্রিয়তা পায়। গেমের রেজিস্ট্রেশনের পর একজন গ্রাহককে গেমস খেলার জন্য কিছু চিপস ফ্রি দেওয়া হয়। পরে গেমস খেলার জন্য অর্থের বিনিময়ে চিপস কিনতে হয়। মূলত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে চিপস কিনে অর্থের লেনদেন হয়।


তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার চিপ বিক্রি হয় এবং প্রতিটি কোটি টাকার চিপ বিক্রি হয় বিভিন্ন পর্যায়ে ৪৬ থেকে ৬৫ টাকায়। বিভিন্ন বট প্লেয়ার/রোবট প্লেয়ারের মাধ্যমে মূল গেইমারদের কৌশলে হারিয়ে প্লেয়ারদের পরে আরও চিপস কিনতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে ‘তিন পাত্তি গোল্ড’ এর চিপস বিক্রির কাজটি ১৪টি অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর/এজেন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এই সকল ডিস্ট্রিবিউটরদের সাব ডিস্ট্রিবিউটরও রয়েছে। 

জেবি/ আরএইচ/