ধামরাইয়ে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২২


ধামরাইয়ে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
ধামরাইয়ে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

ধামরাইয়ে কাফনের কাপড় পড়ে ছাত্র লীগের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল 

ইমরান খান, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ধামরাইয়ে সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটি বিবাহিত ও ছাত্রশিবিরের কর্মী দিয়ে গঠন করার প্রতিবাদে বঞ্চিত ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা মাথায় ও গায়ে কাফনের কাপড় পড়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করায় রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা যানযট লেগে যায়। পরে পুলিশ এসে মহাসড়কে অবস্থানরত ছাত্রলীগের কর্মীদের সরিয়ে দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) সকালে ধামরাই থানা বাসষ্ট্যান্ডে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সক্রিয় ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়- ধামরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বর্ণখালী গ্রামের জঙ্গি মামলার আসামী আল সোয়ায়েব ও তাসলিমের আপন ছোট ভাই ছাত্র শিবিরের কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ এবং ছাত্র দলের নেতা জামিল হোসেনকে টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতির পদ দেয়ায় আন্দোলনে নামেন নেতাকর্মীরা। মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা যানযট লেগে যায়। পরে থানা পুলিশ এসে ছাত্র লীগের অবরোধ সরিয়ে দিলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।


আন্দোলনে নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিল হোসেনকে উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি পদ দেন। শুধু তাই নয় জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়ায় ক্ষোব্দ হয়ে আন্দোলন করতে থাকেন উপজেলা ছাত্র লীগের  নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগে কখনো জামাত শিবির, বিবাহিত ছাত্র দলের নেতা পদ পেতে পারে না। টাকার বিনিময়ে কেন তাদের পদ দেয়া হলো প্রশ্ন রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের কাছে।

উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল বলেন, জামিল বিবাহিত, তার ছাত্র লীগ করার বয়স নাই। তাকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে এবং জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।

ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খান বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম  ও সাধারণ সম্পাদক  মনিরুল ইসলাম গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেন। জামিল প্রবাসে কর্মরত ছিলেন। আব্দুল্লাহ আশ শাবিব একজন শিবির ক্যাডার, তাকে দেয়া হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। অথচ শাবিবের দুই ভাই জঙ্গি মামলার আসামী। যদি অতিশীগ্রই এই অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল না করে তাহলে আমরা অনশন চালিয়েই যাবো।

তবে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্র লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি জামিল হোসেন বলেন, যারা এসব করেছে তারা পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু সবাই তো পদে আসবে না। যারা পদ পায়নি তারাই অযথা ভিত্তিহীন কথা বলতেছেন। পদ না পেয়ে তারা গুজব ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন- মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় যানযটের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা এসে অবরোধ সরিয়ে দিয়েছি। পরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।