সৈকত এখন পর্যটকদের আগমনে মুখরিত
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২২
টানা তিন দিনের ছুটিতে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার সৈকত এখন পর্যটকদের আগমনে মুখরিত। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের ছুটিসহ তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটার পর্যটন স্পষ্টগুলো।
গত বৃহম্পতিবার বিকেল থেকেই সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটকদের এমন ভিড়ে সম্পূর্ণভাবে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার রিসোর্ট ও হোটেলগুলো। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নিজের ভ্রমণকে স্মরণীয় রাখতে মেতেছে সেলফিতে।
সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে পর্যটকদের এখন ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। রাখাইন মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, শুঁটকি মার্কেট, খাবার হোটেলসহ বাহারি পণ্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি।
বিগত দিনে পর্যটন খরায় থাকলেও পদ্মা সেতু চালুর পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। এখন সারা মাসেই পর্যটন মৌসুমের মতো পর্যটকদের উপস্থিতি থাকে বলে জানিয়েছেন এখানকার হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।
ছোট-বড় মিলিয়ে দেড়শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে রুম পান না পর্যটকরা। আশপাশের বাড়িগুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেওয়া হলেও জায়গা হচ্ছে না। তাই অনেকে রাত্রিযাপন করে সৈকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়।
আগে যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল, রিসোর্ট খালি পরে থাকত, সেখানে এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পর্যটকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল, রিসোর্ট নির্মাণসহ বিনিয়োগের দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।