ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, ৯ই নভেম্বর ২০২২


ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ
ছবি: জনবাণী

*** টাকার বিনিময়ে সভাপতির পদ


*** জঙ্গী মামলার আসামির ভাই কমিটিতে


*** কাফনের কাপড় পরে পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ


ধামরাইয়ে সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্র শিবির কর্মীদের পদ পাওয়ার প্রতিবাদে বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাথায় ও গায়ে কাফনের কাপড় পড়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। 


মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করায় রাস্তার উভয় পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা যানজট সৃষ্টি হয়।


জানা যায়, ধামরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বর্ণখালী গ্রামের জঙ্গি মামলার আসামী আল সোয়ায়েব ও তাসলিমের আপন ছোট ভাই ছাত্র শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ এবং ছাত্রদল নেতা জামিল হোসেনকে টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামিল হোসেনকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেন। শুধু তাই নয় জঙ্গি মামলার আসামীর ভাই শিবির কর্মী আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামেন তারা। 


তারা আরও বলেন, ছাত্রলীগে কখনো জামাত শিবির, বিবাহিত ছাত্র দলের নেতা পদ পেতে পারে না। টাকার বিনিময়ে কেন তাদের পদ দেয়া হলো প্রশ্ন রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে।


উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল বলেন, জামিল বিবাহিত, তার ছাত্রলীগ করার বয়স নাই। তাকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে এবং জঙ্গি মামলার আসামির ভাই আব্দুল্লাহ আশ শাবিবকে উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।


ধামরাই সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খান বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম গত ৪ নভেম্বর টাকার বিনিময়ে জামিলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেন। জামিল প্রবাসে কর্মরত ছিলেন। আব্দুল্লাহ আশ শাবিব একজন শিবির ক্যাডার। তাকে দেয়া হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। অথচ শাবিবের দুই ভাই জঙ্গি মামলার আসামি। যদি অতিশীঘ্রই এই অবৈধ পকেট কমিটি বাতিল না করে তাহলে আমরা অনশন চালিয়েই যাবো।


তবে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 


উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি জামিল হোসেন বলেন, যারা এসব করেছে তারা পদপ্রার্থী ছিল। কিন্তু সবাই তো পদে আসবে না। যারা পদ পায়নি তারাই অযথা ভিত্তিহীন কথা বলছে। পদ না পেয়ে তারা গুজব ছড়াচ্ছে।


এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন- মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা এসে অবরোধ সরিয়ে দিয়েছি। পরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

জেবি/ আরএইচ/