আমন ধানের বাম্পার ফলনে, কৃষাণ কৃষাণীরা মেতে উঠেছে নবান্নের উৎসবে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:১৫ অপরাহ্ন, ৯ই নভেম্বর ২০২২


আমন ধানের বাম্পার ফলনে, কৃষাণ কৃষাণীরা মেতে উঠেছে নবান্নের উৎসবে
ধান মাড়ায় কাজে ব্যস্ত কৃষাণ কৃষাণীরা

শ্রীপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধানে বাম্পার ফলন, ঘরে ঘরে কৃষাণ কৃষাণীরা মেতে উঠেছে নবান্নের উৎসবে।ধানে ধানে ভরে উঠেছে মাঠ। সে সাথে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। নতুন ধানের উপস্থিতিতেই কৃষক পরিবারে লেগেছে আনন্দের ঢেউ। বাতাসে ভেসে আসছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। 


অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও  কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়ে গেছে ধানকাটা আজ (৯ নভেম্বর) বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। 


এসময় কৃষকের নিকট আত্মীয়দের সমাগম ঘটবে বাড়িতে বাড়িতে। শত ব্যস্ততার মাঝেও নবান্নের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় কৃষাণ কিষানিরা। মাঠে তাদের সোনালি স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। আর সেই আনন্দে আমন ধান কাটা শুরু করেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। আর কদিনের মধ্যে পুরোদমে আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে বলছে কৃষি বিভাগ।  শ্রীপুর উপজেলায় এবার আমনের আশানুরুপ ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ভাল ফলন পেয়ে খুশি কৃষকেরা।

 

উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক  আব্বাস মিয়া  জানান, ‘আল্লাহর রহমতে এ বছর ভালো ফসল হয়েছে। পোকামাকড় তেমন আক্রমন করেনি।


এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ফলনের বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা ও সরকারি সহায়তায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এবছর ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছিল। যাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৭হাজার ৩ শত ৫ মেট্রিট টন। বাংলার কৃষাণ কৃষাণীরা নবান্ন উৎসবের পাল্লা  দিয়ে চলছে আমন ধান কাটার মহা উৎসব। বাজারে নতুন ধানের দামও ভাল। ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। আগাম শীত আসা শুরুতেই আমন ধান গোলাই উঠার সাথে সাথেই গ্রামের বউ ঝিরা নতুন ধানের  পিঠাপুলি বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।


আরএক্স/