দুদকের জালে ফেঁসে যাচ্ছে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০০ পূর্বাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২২


দুদকের জালে ফেঁসে যাচ্ছে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার
ছবি: সংগৃহীত

***অজ্ঞাত কারণে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা


*** তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে


গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতারের সাবেক কর্মস্থলের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 


এ সংক্রান্ত একটি নথি গত ৬ নভেম্বর দুদকের সহকারি পরিচালক আফরোজা হক খানের মাধ্যমে বিভাগীয় প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার জন্য ও বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দিতে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালককে অনুরোধ করা হয়। 


তার প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত তিনটি বিভাগীয় তদন্তের নথি দুদকে প্রেরণ করেছে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনষ্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।


খোঁজ  নিয়ে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার হাউজিং বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক থাকাকালে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেন। এ সময় তিনি কিংডম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিধি বহির্ভুতভাবে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ দিয়ে বিল প্রদান করে সরকারের আর্থিক অপচয় করেন এবং অনৈতিক উপায়ে নিজে লাভবান হন।


আরও জানা গেছে, এ ছাড়াও ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গার্ড, সিকিউরিটি সুপারভাইজার ও সিকিউরিটি ইনচার্জ পদে ১৭ মাস যাবৎ জনবল সেবা গ্রহণ করে ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার পঞ্চাশ টাকা বকেয়া বিল প্রদান না করা ও তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে বিধি বহির্ভুতভাবে  পিপিআর ও আউটসোর্সিং নীতিমালা ভঙ্গ করে নেটওয়ার্ক এলিমেন্টস অফ সিকিউরিটি এন্ড ট্রাষ্টকে কার্যাদেশ প্রদান করায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আমিনুল হক লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। 


এর আগেও এইচবিআরআই এ ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি দুদককে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ বা নির্দেশও দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা দুদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সর্বশেষ ৬৬৬ এ কল করে বিষয়টি তদন্তের দাবী জানান। 


এদিকে ভুক্তোভোগীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর বিষয়টি গভীরভাবে তদন্তের উদ্যোগ নেয় দুদক।


এ বিষয়ে দুদকের সহকারি পরিচালক আফরোজা হক খান বলেন, আমরা কেবল প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম -দুর্নীতির তদন্ত করছি। তদন্ত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।


এদিকে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কথা বললে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণপূর্তের অনেক প্রকৌশলীই মন্তব্য করেন যে, স্যার এবার ফেঁসে যেতে পারেন।


এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতারের অফিসে ফোন করলে তার স্টাফ অফিসার বলেন,স্যার মন্ত্রণালয়ে মিটিং এ আছেন।

জেবি/ আরএইচ/