তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন ‘আইকনিক রেলস্টেশন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২২


তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন ‘আইকনিক রেলস্টেশন
তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন ‘আইকনিক রেলস্টেশন

আইকনিক রেলস্টেশন’

সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছিতে তৈরি হচ্ছে দেশের বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন ‘আইকনিক রেলস্টেশন’। দেখতে অনেকটা ঝিনুকের আদলে, বলা হচ্ছে এশিয়ার বৃহৎ রেলস্টেশন। প্রতিদিনই এই স্টেশনে আসা-যাওয়া করবে ৯০ হাজারের বেশি যাত্রী। আর রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে নেমে পর্যটকেরা লাগেজ স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, শিশু যতœকেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ আন্তর্জাতিক মানের সকল প্রকরের সুযোগ-সুবিধা।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অত্যাধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এই রেলস্টেশনে। সামনের অংশে তৈরি হবে বিশাল আকৃতির ঝিনুকের ফোয়ারা। ঝিকঝিক শব্দ করে ট্রেন আসার পর যার পাশ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে স্টেশনে। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে সেতু হয়ে চড়তে হবে ট্রেনে।

গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থাকবে বড় ৩টি জায়গা। স্টেশন ভবনে থাকবে কাউন্টার, স্বাগত জানানোর কক্ষ, তারকামানের হোটেল, রেস্তোরা, মালামাল রাখার লকার, শিশু যত্ম কেন্দ্র, মসজিদসহ অত্যাধুনিক সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। যদি কেউ চাইলে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার পৌছে মালামাল স্টেশনে রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতে ফিরে যেতে পারবেন। আর বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিদিনই এই স্টেশনে আসা যাওয়া করবে ৯০ হাজারের বেশি যাত্রী।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্টের সংশ্লিস্টরা বলেন, এই আইকনিক স্টেশনে প্রতিদিনই ৪৬ হাজার যাত্রী গমন করতে পারবে এবং ৪৬ হাজার যাত্রী বর্হিগমন করতে পারবে। যাত্রীরা কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে নেমে লাগেজ মালামাল রাখার লকারে রেখে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আবারও নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারবে। এই আইকনিক স্টেশনে ৩টি বিশাল গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থাকবে। আর প্রতিদিনই এই ঝিনুক আকৃতির রেল স্টেশন, পানির ফোয়ারা ও অন্যান্য সৌন্দর্য দেখতে লোকজন ভিড় করবে। আশা করি, এটি একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠবে।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্টের সংশ্লিস্টরা আরও বলেন, দ্রæত গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এতো বড় একটি প্রকল্পে আমরা বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করতে পেরে গর্বিত।  


তবে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে জানালেন দোহাজারি-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের সংশ্লিস্টরা। নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে আগামি বছরের মে মাসে ট্রেন চলাচল করবে বলে জানালেন এক কর্মকর্তা।

২৯ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন। যার নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা।