এইচএসসিতে উস্কানিমূলক প্রশ্ন
সেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মামলার আবেদন
আজাহারুল ইসলাম সুজন
প্রকাশ: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২২
ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করার অভিযোগে প্রশ্ন প্রনয়ণকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পালসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বারিধারা শাখার এইচএসসির পরীক্ষার্থী শিমু আহম্মেদ। আদালত বাদীর পক্ষে তার চাচা নিজাম উদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয় আদেশ পরে দিবেন বলে জানান। বাদী শিমু পরীক্ষা হওয়ায় তার চাচা নিজাম উদ্দিনকে মামলা করার ক্ষমতা দেন।
বাদীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলমান এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় অবমাননাকর ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ায় দণ্ডবিধি ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারায় আদালতে মামলার আবেদন করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তা আদেশের জন্য রেখেছে। আমাদের বিশ্বাস আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থামূলক আদেশ প্রদান করবেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তারা সবাই প্রশ্নপত্র পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নটি সংযোজন করে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।
আসামিরা এরুপ প্রশ্ন করার মাধ্যমে দেশের মুসলমান জাতিকে ও ইসলাম ধর্মকে সরাসরি হেয় প্রতিপন্ন করেন। এমন প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নকারী ও প্রশ্ন পরিশোধকগন মুসলিম জাতি ও ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ও সমাজে মুসলিম জাতির সম্মানহানি করেন। এসব তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।
জেবি/ আরএইচ/