আদালতে ন্যায় বিচার চাইলেন জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হয় সজীব ওয়াজেদ জয়। সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তিনি সাক্ষ্য দেন।

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে সিএমএম আদালতে এসে পৌঁছান তিনি।

এরপর বেলা সাড়ে তিনটার আগে সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আধা ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য দেওয়া শেষে বেলা ৩টা ৫৮ মিনিটে এজলাস থেকে নেমে যান তিনি। বিকেল ৪টার পরপর তিনি আদালত এলাকা ত্যাগ করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের আদালতে আগমন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় ঢাকার সিএমএম আদালতে। সংশ্লিষ্ট মামলা ও রাষ্ট্রপক্ষ ব্যতীত সকল আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এজলাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ মামলায় বিচার শুরুর পর ইতোমধ্যে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

জেবি/ আরএইচ/