দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়

মাঁচা পদ্ধতিতে করলা চাষ, লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:০১ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২২


মাঁচা পদ্ধতিতে করলা চাষ, লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষ্ণরামপুর চর এলাকায় কৃষক ইয়ামিনের করলা ক্ষেত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় মাঁচা পদ্বতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করেছেন প্রায় ২৫ টি গ্রামের কৃষকেরা। এ অঞ্চলের মাটি করলসাহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেশী পরিমান জমিতে করলা চাষ করেছেন। বর্তমানে করলার ফলন ও দাম বেশী থাকায় খুশি কৃষকেরা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলানন্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, বেগুনবাড়ি, সালিকাদহ, উত্তর দেবীপুর, রঘুনাথপুর, চাঁদপাড়া, ঋষিঘাট, সাতপাড়া, ভর্ণাপাড়াসহ প্রায় ২৫ টি গ্রামের ২ শতাধিক কৃষক করলার চাষ করেছেন।


বর্তমানে কৃষকের ক্ষেতে মাঁচায় ঝুলছে হাইব্রিড জাতের করলা। করলা ক্ষেতে সেচ, নিড়ানি ও ফল সংগ্রহ, বাজার জাতকরণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।


 উপজেলার কৃষ্ণরামপুর সোনারপাড়া গ্রামের ইয়ামিন বলেন, এ বছর ১ একর জমিতে করলা চাষ করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। বর্তমানে তিনি করলা মন প্রতি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২ শত টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ বছরে বাজার দর ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এ পরিমান জমিতে ২ লক্ষাধিক টাকার মত করলা বিক্রি করতে পারবেন।


উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী বলেন, করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সেই জমিতেই শীতকালীন সবজি ও আলু চাষ করতে তাদের বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, জমি থেকে করলা উঠানোর পর ওই জমিতেই কৃষকেরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, আলু ও পালন শাক সহ বিভিন্ন জাতের সবজি লাগাতে পারবেন।


উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাছ হোসেন সরকার জানান, কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। গত বছর করলার চাষ হয়েছিল ৬৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর করলা চাষ হয়েছে ৮৫ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া আরও ১১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ হয়েছে।