নিশো ও মেহেজাবিনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
আজাহারুল ইসলাম সুজন
প্রকাশ: ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১৭ই নভেম্বর ২০২২
অভিনেতা আফরান নিশো ও অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীসহ ছয়জনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত। ঘটনা সত্য নাটকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ শব্দ ব্যবহার করার অভিযোগে রিভিশন তাদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এ সমন জারি করে আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান রিভিশন মামলা গ্রহণ করে আসামিদের ২৫ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, নাটকের চিত্রনাট্যকার মঈনুল সানু ও পরিচালক রুবেল হাসান।
বাদী পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শুনানিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতকে বলেছি যে ম্যাজিস্ট্রেট তার আদেশে বলেছেন নাটকের ডায়ালগে সরাসরি প্রতিবন্ধীদের হেয় করার কোন বক্তব্য নেই। অথচ প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন'২০১৩ এর ৩৭ ধারায় বলা আছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নেতিবাচক ও ভ্রান্ত ধারণা প্রদান করলেই এই অপরাধ হবে। যাহা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উপেক্ষা করেছেন। এবং তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই স্বীকার করে বিবাদীগন কাজটা করেছেন বাট নাটক তৈরির সময় ধারণা ছিল না এটা অপরাধ হবে এবং ফেইসবুকে ক্ষমা ও চেয়েছেন। এটি দ্বারা বুঝা যায়, অপরাধ প্রমাণিত কিন্তু আইনে অজ্ঞতা কখনো অজুহাত হিসেবে গণ্য হয় না এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইলে তা আইনের শাস্তি থেকে বাচার সুযোগ নেই। আদালত রিভিশন মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। আগামী বছরের ২৫ এপ্রিল সমনের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আমরা আদালতেন আদেশে সন্তুষ্ট।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান সিদ্দিকীর কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই। গত ৩১ অক্টোবর বাদী নারাজি দিলে আদালত তা নামঞ্জুর করে মামলার দায় হতে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতর রিভিশন মামলা করেন।
মামলাটি চাইল্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষে নাবিলা আক্তার মামলাটি দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি পিআইবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে দেখানো সংলাপে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের বাবা-মা এবং পরিবারকে ‘ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।