বড়লেখায় বলাৎকারের দায়ে পুলিশের জালে ২ বলৎকারী আটক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৪শে নভেম্বর ২০২২


বড়লেখায় বলাৎকারের দায়ে পুলিশের জালে ২ বলৎকারী আটক
ছবি: জনবাণী

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


সোমবার (২১ নভেম্বর) এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরের বাবা বাদী হয়ে  দিবাগত রাতে বড়লেখা থানায় দু'জনের নামে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের সুজাউল গ্রামের রুনু মিয়ার ছেলে রাসেল আহমদ (২২) ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কয়ছর আহমদ (১৯)।মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় বিদ্যুতের কাজে সহযোগিতা করার কথা বলে কয়ছর আহমদ ধর্ষণের শিকার কিশোরকে (১৬) দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাসেল আহমদের কাছে নিয়ে যায়। 


এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে রাসেল আহমদ ওই কিশোরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় আল্লাদাদ চা বাগানস্থ লংকা টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রাসেল আহমদ। পরে তাকে (ধর্ষণের শিকার কিশোর) অন্ধকারের মধ্যে এলাকার একটি রাস্তায় ফেলে যায়। এসময় পথ হারিয়ে কিশোর কান্নাকাটি করছিল। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন। পরদিন সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে (ধর্ষণের শিকার কিশোর) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 


ওইদিন দিবাগত রাতে ধর্ষণের শিকার কিশোরের বাবা ধর্ষণকারী রাসেল আহমদকে ১ নম্বর আসামি ও সহযোগিতাকারী কয়ছর আহমদকে ২ নম্বর আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মো.মাসুক মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দু'জনকে পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে।বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মো. মাসুক মিয়া মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘অভিযুক্ত দু'জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরএক্স/