প্রয়োজনে দখলদারদেরকে কারাদণ্ড দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রয়োজনে
খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে সতর্কবার্তা
দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার
(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর শ্যামপুর
এলাকায় শ্যামপুর খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে
মতবিনিময়কালে দখলদারদের বিরুদ্ধে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তাপস
বলেন, ‘দখল ঢাকাবাসীর জন্য একটি বড় সমস্যা। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা ভবিষ্যৎতে আরও
কঠোর হব। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য
হব।’
খাল
সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হল খালগুলোকে
সম্পূর্ণরূপে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি
করা। যাতে করে বছর বছর নতুন করে খনন বা এগুলো অপসারণ করতে না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা
একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। প্রকল্পটি প্লানিং কমিশন থেকে কিছু মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে।
আমরা সেগুলো আবার বিচার-বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা করে জমা দেব। আমরা আশাবাদী যে, এই প্রকল্পটা
পাশ হলে স্থায়ীভাবে সমাধানের দিকে আগাতে পারবো। সাথে সাথে খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ,
অবৈধ দখলদার মুক্ত করা এবং সেই সীমানা বেষ্টনিগুলো স্থায়ীভাবে স্থাপন করা। এগুলো অত্যন্ত
জরুরি। এগুলো যদি করতে পারি তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে যেতে পারবো।’
জলাবদ্ধতা
নিরসনে গতবছরের চেয়ে এবার ঢাকাবাসীকে আরও বেশি সুফল দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তাপস বলেন, ‘আপনারা
লক্ষ্য করেছেন, আমাদের আসলে অনেক পুঞ্জিভূত সংকট। আমরা একটা একটা করে সেগুলো সমাধানের
দিকে এগিয়ে চলেছি। জলাবদ্ধতা ঢাকাবাসীর জন্য একটি অত্যন্ত কঠিন সমস্যা। গতবছর কিছুটা
সুফল দিতে পেরেছি। এবার আরেকটু বেশি সুফল দিতে পারবো এবং দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানের দিকে
আগাতে পারবো।’
এ সময় অন্যান্যের
মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান
রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ,
কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওআ/