মাঝরাতে জানালায় উঁকি, অতঃপর আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে নভেম্বর ২০২২
ঢাকার ধামরাইয়ে মাঝরাতে এক কৃষকের বাড়িতে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়ার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় মহু কসাই নামে এক ব্যক্তিকে। পরে জোরপূর্বক কসাইয়ের পরিবার ও মন্টু চৌকিদার ছাড়িয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান ভুক্তভোগী কৃষকের পরিবার। এর আগে গত রোববার রাত একটার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড মধ্যপাড়া হানিফ আলীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মহু কসাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হানু মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী হানিফ আলীর স্ত্রী জানান- মহু কসাই এর আগেও রাতে দৌড়ানি খাইয়া জুতা রাইখা গেছে। পরে তার বউ ও ছেলেকে দেখাইছি। তার কিছুদিন পরে আরও একদিন আমি আর আমার মেয়ে ওরে ধরছি। আমার শশুর আছিল, আরো আশেপাশের মানুষ ছিল। চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানাতে চাইছি। পরে মহুর বাড়ির মানুষ বলে চেয়ারম্যানের কাছে জানান লাগব না। মাফ চাই, মানসম্মানের প্রশ্ন আছে। আমরা হারমুনি, বলার দরকার নাই। আবার পরশু দিন রাতে আমার মেয়েকে খুড়ি দিয়ে খোঁচা দিছে। মেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠছে মা মা আমাকে কে জানি খোঁচা দিছে। তারপরের দিন গত রাতে ১টা ৩ মিনিটে আমার ঘরের আঙিনায় দাড়িয়ে ছিল। আমার খালু, শশুর ও দেবর দৌড়াইয়া ধরছে।
তিনি আরও বলেন, সকাল বেলা আমার স্বামী ও আমার এক খালা শাশুড়ি নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গেছি। বিচার করে দেন, আমাদের ঝামেলা করে। আমি একা রাতে ঘুমাই। ওর জন্য আমরা সবসময় ভয়ে থাকি। তখন চেয়ারম্যান দুই দিনের সময় চেয়েছে। দুই দিনের ভিতরে সমাধান করে দিব।
আব্দুর রহমান বলেন- রাত ১ টার দিকে কারখানায় মেলা করছি তখন পূর্ব দিকে তাকিয়ে দেখি জানালা সোজা চোর দাড়িয়ে রইছে। চোর চোর বলে দৌড় দিছি আমি আর ছেলে, তখন চোর ল্যাপটিন (টয়লেট) মুখি দৌড় দিছে। অমনি সে গর্তে পইরা গেছে। পরে ঝাপিয়ে ধইরা দেখি হইছে মহু। ওনার বাসা আমার বাড়ির সাথে। তার ছেলে বলে আমরা এইটার বিচার করুমনি। চেয়ারম্যান মেম্বারকে জনাইছি, দুই দিনের টাইম নিছে।
এবিষয়ে আমতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন জানান- হানিফ আলী ও তার স্ত্রী আমার কাছে এসেছিলো বিচার দিতে। পরে আমি তাদের সঠিক বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। দুই একের ভিতর আমার স্থানীয়ভাবে বসে বিচার করে দিব।
কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ কায়কোবাদ বলেন- এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।