বঙ্গমাতার নামে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হল


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:২৯ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২২


বঙ্গমাতার নামে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হল
ছবি: জনবাণী

মোছা. জান্নাতী বেগম: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ময়মনসিংহ জেলার  ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়ার বটতলায় অবস্থিত কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ময়মনসিংহ বিভাগ এ প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় আট হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।


বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট চারটি হল রয়েছে। এর মধ্যে অগ্নিবীণা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামে দুটি ছাত্র হল এবং দোঁলনচাপা ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিল্লাতুন্নেছা মুজিব নামে দুটি ছাত্রী হল।


গত ২০শে জানুয়ারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলটি উপাচার্যের চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে উদ্ধোধন করা হয়েছে এবং ছাত্রীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে হলে থাকতে শুরু করে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। বর্তমানে হলটিতে মোট এগারোশত চল্লিশ জন শিক্ষার্থী বসবাস করছে এবং মোট দুটি ধাপ বা এলটমেন্টের মাধ্যমে ছাত্রীদের আবাসিক এর আওতাধীন আনা হয়।


প্রথম ধাপে অর্থাৎ প্রথম এলটমেন্টে নয়শত সাতাশি জন শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় ধাপে দুইশত পঁয়ষট্টি জন পরবর্তীতে আরো দশ জন শিক্ষার্থীকে আবাসিকের আওতায় আনা হয়।


দশতলা বিশিষ্ট হলটির দায়িত্বে রয়েছে একজন হল প্রভোস্ট সহ মোট বারো জন হাউজ টিউটর। হাউজ টিউটরদের দশ জন মহিলা ও দু জন পুরুষ। এছাড়াও নিরাপত্তা কর্মীদের মোট ছজন ছাত্রীদের নিরাপত্তা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।


বঙ্গমাতার নামে নামাঙ্কিত এই অসাধারণ হলটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অনন্য। হলটির পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন মোট আটজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নং গেইট দিয়ে প্রবেশের শুরুতে অসাধারণ এই হলটি চোখে পড়ার সাথে সাথে যেনো যে কারোর নজর কেরে নিতে বাধ্য। হলটিতে প্রবেশের শুরুতেই চোখে পড়বে নিচ তলায় অতিথি কক্ষ, তারপর হাউজ টিউটর, হল প্রভোস্টের কক্ষ এবং অফিস কক্ষ। একই সাথে নিচ তলায় অবস্থিত মনিহারি দোকান,যেখানে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার এবং পড়াশোনার জিনিসপত্র ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাওয়া যায়। রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা। কনস্ট্রাকশন অনুযায়ী মোট তিনটি ডাইনিং চালু হওয়ার কথা থাকএছাড়াও উপরের তলায় রয়েছে খাবার কক্ষ বা ডাইনিং।


দশ তলা বিশিষ্ট হলটিতে চতুর্থ থেকে দশ প্রত্যেকটি তলাতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রয়েছে একটি করে নামাজ বা প্রার্থনা কক্ষ। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী জন্য রয়েছে একটি প্রার্থনা কক্ষ যেটা চতুর্থ তলাতে অবস্থিত। এছাড়াও  ছয় তলা, আট তলা এবং দশ তলায় একটি করে অধ্যয়ন কক্ষ রয়েছে।


এছাড়াও বেশ কিছু জিনিস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যেমন -লন্ড্রি দোকান,প্রসাধনী কক্ষ ও জিনিস,কম্পিউটার ল্যাব,দ্বিতীয় তলাতে একটি ক্রীড়া কক্ষ, টিভি রুম একটি চালু আছে আরও একটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।


বর্তমানে বঙ্গমাতা হলে একটি ডিবেটিং ক্লাব চালু করা হয়েছে যার জন্য ছয় তলাতে একটি কক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে। ইন্ট্রা হল, ইন্ট্রা  ব্লক এবং ইন্টার ইউনিভার্সিটি তে এই বিতর্ক হবে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া। তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসে অন্তত্ব দুটি করে বিতর্ক বিষয়ক ইভেন্ট রাখা হবে।


হল প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, হল শুধুমাত্র থাকা খাওয়ার জায়গা না হোক, মেয়েরা  মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখুক দেশসহ পুরো বিশ্বব্যাপী।আমরা এখনো সংকট উত্তোরনের পথ খুঁজছি এবং এ ব্যাপারে উপাচার্য ড.সৌমিত্র শেখর আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করছেন।


উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর জানান, হলটা যেহেতু বঙ্গমাতার নামে সে কারনে আমাদের আলাদা আবেগ রয়েছে। আমরা ছাত্রী হলের ভৌত অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে চাই এবং তাদের সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করতে চাই। আমাদের একটা ইচ্ছে আছে ভবিষ্যৎ এ একটা অভ্যন্তরীণ অডিটোরিয়াম করা যাতে করে ছাত্রীরা খেলাধুলা এবং অনুষ্ঠান কার্যক্রম করতে পারে এবং পাশাপাশি যাতে এক্সা কারিকুলার কার্যক্রম বাড়াতে পারে।

জেবি/ আরএইচ/