করলা চাষে সফল বিরামপুরের কৃষকরা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২২
এক সময় ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করত আলতাব। পরিবার পরিজন ছেড়ে ঢাকায় থাকতে হতো। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর গ্রামের বাড়িতে আসতেন। আসা-যাওয়ায় কাজে মন টিকতো না। এক প্রকার বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে দিয়ে গত কয়েক বছর আগে নিজ গ্রাম বিরামপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে চলে আসেন।
এরপর থেকে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। জমানো টাকায় পৌনে দেড় বিঘা জমি ইজারা নিয়ে রানী জাতের করলার আবাদ করে তার ভাগ্য বদলেছে। বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
জমি বন্ধক নিয়ে গ্রামে তিনি শাক-সবজি, শসা,পটল,আলু, করলা চাষ করেন। দুই দফায় দেড় বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন। ২২ কাঠা জমি ২ বছরের জন্য নিয়েছেন ৩২ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, জমি প্রস্তুত করে গত ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহে জমিতে করলার চারা রোপণ করেন। মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সুযোগ বুঝে এরই মাঝে মাচা তৈরি করে চারা রোপণ করেন। এক বিঘা জমিতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাঁচা তৈরিতে এবং শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ২৬-২৭ হাজার টাকা। মোট জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। চারা রোপণের ২০ দিনের মধ্যে ফুল এবং ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ফল ধরা শুরু হয়। সপ্তাহে ২ দিন ক্ষেত থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মণ করলা উঠানো হয়। যেখানে প্রথম দিকে ৩ হাজার টাকা মণ পাইকারী দাম পাওয়া গিয়েছিল।
আরেক কৃষক বলেন, বর্তমান বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছে ১৬শ-১৮শ টাকা মণ। সর্বোচ্চ সাড়ে তিনমাস পর্যন্ত এ মাচায় করলা থাকবে। এরপর পটল। সব খরচ বাদ দিয়ে করলা মৌসুমে সাড়ে তিন মাসে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে।
ইতমধ্যে করলার মধ্যে পটলের গাছ লাগানো হয়েছে। করলা শেষ হওয়ার পর পটলের গাছ মাচায় উঠে যাবে। একই মাচায় পটলের আবাদ করা হলে মাচা তৈরির খরচটা লাগবে না। অন্যন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার কারণে সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বিরামপুর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে করলার আবাদ করা হয়েছে।