রায়গঞ্জে বেড়েছে কাঁচা ঘাসের চাহিদা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২২


রায়গঞ্জে বেড়েছে কাঁচা ঘাসের চাহিদা
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কাঁচা ঘাসের হাট- ছবি: জনবাণী

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বেড়েছে কাঁচা ঘাসের ব্যাপক চাহিদা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা ঘাস বেচা-কেনার জন্য গড়ে উঠেছে ঘাসের বাজার। ফলে সহজেই পাওয়া যায় গরু লালন পালনের এই কাঁচা ঘাস। এদিকে ঘাস বেচাকেনা করে, একদিকে যেমন অনেক পরিবার কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছেন ঠিক তেমনি গরু লালন পালনের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বা চার বছর আগেও এ ঘাসের চাহিদা তেমন একটা ছিল না।এখন এর চাহিদা বহুগুণে বেড়ে গেছে, নেপিয়ার জাতের ঘাসের চাহিদা বাড়ায় অনেক জমির আইল, পুকুর পাড়, পতিত জমিসহ রাস্তার আশপাশে এই ঘাসের চাষ হচ্ছে। 


রায়গঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রায় ৫৫ ভাগ লোকজন গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালন করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের বাড়িতে দুই বা তার অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগল রয়েছে। আবার কেউ বা গড়ে তুলেছেন ছোট বড় গরু, ছাগলের খামার। এসব খামারের গরু ও ছাগল পালনের জন্য প্রতিদিন অনেক গো-খাদ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শুকনা ধানের খড়ের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস গো-খাদ্য হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এদিকে গাভীর জন্য কাঁচা ঘাসের ভূমিকা রয়েছে সর্বাঙ্গে। 


এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়ালী-উল ইসলাম এবং ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আগে কাঁচা ঘাসের এত চাহিদা ছিল না। কিন্তু গো- খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা প্রতিটি এলাকার খামারিদের ভাল ভালো জাতের ঘাস চাষের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ আগে থেকেই গ্রামের কৃষকরা অন্য কাজের পাশাপাশি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে থাকে। এখন গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালনে বেশি লাভবান হওয়ায় খামারিদের সংখ্যাও অনেক বেরেছে। গরু, মহিষ ও ছাগল গুলো সুস্থ সবল ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর তাগিদে কাঁচা ঘাসের তুলনা হয় না। এজন্যই রায়গঞ্জ উপজেলার ভিবিন্ন হাট বাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ঘাস বিক্রি হচ্ছে।