নাতি পেটাচ্ছেন দাদীকে,মা করলেন ভিডিও


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ২২শে ডিসেম্বর ২০২২


নাতি পেটাচ্ছেন দাদীকে,মা করলেন ভিডিও
দাদীকে মারধর করছে নাতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সত্তোরোর্ধ্ব দাদীকে মারধর করতে দেখা যায় আব্দুস সামাদকে। বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধা দাদীকে অমানুষিক ভাবে পেটালেন নাতি। এ ঘটনার সময় শাশুড়িকে রক্ষা তো দুর তা না করে ছেলের পক্ষ নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন ওই যুবকের মা খোদ। গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর লস্করপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।


মারধরের শিকার বৃদ্ধা দাদী পৌর এলাকার উত্তর লস্করপুরের বাসিন্দা লায়লী বেগম। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যপক ভাবে।


এ ঘটনায় মারধরকারী আব্দুস সামাদ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় অভিযোগ নিয়েছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, আদালতের অনুমতি পেলে লায়লী বেগমের অভিযোগ এজাহারভুক্ত করা হবে।


পুলিশের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার উত্তর লস্করপুরের বাসিন্দা লায়লী বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সৌদি প্রবাসী বড় ছেলে জয়নাল মিয়া কয়েক বছর আগে মায়ের সম্পত্তির একাংশ নিজের নামে লিখে নেন। সম্পত্তি নিলেও মাকে দেখভালের জন্য বোনদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন জোর করে তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠক একাধিক বার হয়। গত শুক্রবার জয়নালের ছেলে আব্দুস সামাদ বাড়িতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেন দাদী লায়লী বেগম। তখন সামাদ তার মা আমেনা সহ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে  দাদী লায়লী বেগমকে মারধর করেন।


ভিডিওতে দেখা যায়, লায়লী বেগমকে সামাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কেউ উদ্ধার না করে মাটিতে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের জায়গার ওপর দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে দাদি ও আমার ফুফুরা বাঁধা দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মধ্যস্থতায় কয়েকবার বৈঠক শালিস হয়েছে। শুক্রবার দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে দাদি বাঁধা দিতে আসেন। এ জন্য তাকে সরিয়ে দিয়েছি, মারধর করিনি।


স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ জানান, বৃদ্ধার পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা বৈঠকে বসে দুই পক্ষকে জায়গা আলাদা করে দিয়েছিলাম। বৃদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক।


কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।


আরএক্স/