কাগজে কলমে পেলেও বাস্তবে মিলছেনা সালেহার প্রতিবন্ধী ভাতা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২


কাগজে কলমে পেলেও বাস্তবে মিলছেনা সালেহার প্রতিবন্ধী ভাতা
বর আলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে এই প্রতিবন্ধী মেয়ে সালেহাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিলো প্রতিবন্ধী ভাতা।

কাগজে কলমে ভাতা পেলেও বাস্তবে মিলছেনা সালেহার প্রতিবন্ধী ভাতা।  

যশোর জেলার ঝিকরগাছার বাঁকড়া ইউনিয়নের দিকদানা গ্রামের মেয়ে প্রতিবন্ধী সালেহা, একই গ্রামের বাবর আলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সালেহা  ১৯ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী মেয়ে।  বাবা-মা , দুই ভাই,  দুই বোনের পরিবার তোদের,  গত ১ বছর আগে বাবা মারা যায় তখনি পরিবারে নেমে আসে আর্থিক সংকট । এ পরিবারে ৪ সন্তানের মধ্যে ২ সন্তান ই প্রতিবন্ধী।  

এর মধ্যে সালেহ বাঁকড়া ইউনিয়নের দিকদানা গ্রামের বাবর আলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। সেই বিদ্যালয় থেকে প্রতিবন্ধী অলিম্পিকে  দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে শিরোপা বয়ে আনে দেশের মাটিতে । দেশের নাম বিশ্বের সামনে তুলে ধরে ছিলো এই সালেহা। এটির জন্য সব শেষে তার ঘরে আছে শুধু একটা  মেডেল-ই,  পায়নি কখনো কোন আর্থিক সহযোগিতা।


সালেহা ও তারপরিবার জানান তাদেরকে আশ্বাস্থ করা হয়েছিলো মেডেলসহ সালেহার কষ্টের ফল তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু সেই অসহায় পরিবারের হাতে শুধুই দেওয়া হয়েছিলো মেডেল,  সাথে দেওয়া হয়নি একটি টাকাও। কে আত্নস্বাত করলো সেই টাকা?  বাবর আলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়  থেকে এই প্রতিবন্ধী মেয়ে সালেহাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিলো প্রতিবন্ধী ভাতা। 

যখন প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বই এর মাধ্যমে দেওয়া হতো তখন মাত্র ২ বার ভাতা এর টাকা হাতে পেয়েছিলো সালেহা। গত ২ বছর যাবত ভাতার টাকাও আসছে কিন্তু সেই টাকা ভোগ করতে পারছে না গরীব দূখী সালেহ ও তার পরিবার। 

কারন বই এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া কালিন সালেহার সাক্ষর দিয়ে সে নিজেই টাকা তুলতো কিন্তু যখন থেকে সেই টাকা মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে তখন টাকা পাচ্ছে না ভুক্তভোগীর পরিবার।


সালেহার নামে ভাতা এর টাকা আসছে কিন্তু সেখানে নাম্বার দেওয়া অন্য জনের। এই টাকা দুই বছর যাবত ভোগ করছে অন্য একজন৷

এই নিয়ে দীর্ঘ ২ বছর যাবত সালেহার মা তার মেয়ের প্রাপ্ত টাকার প্রত্যাশায় ছুটেছেন অনেকের ধারেই ।

 সমাজ সেবা অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ,সালেহার স্কুল এমনকি বাঁকড়া ইউনিয়নের  ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূর কাশেম  সরদার এর কাছে ২ বছর যাবত দৌড়ালেও এটির সমাধান দিতে পারেনি কেউ। 



বর আলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেহেনা খাতুন সাংবাদিক দেরকে ফোন দিয়ে জানান তিনি গিয়েছিলেন সমাজ সেবা অফিসে এবং সালেহার সেই নাম্বার পরিবর্তন করে দিবে এবং এই সালেহার টাকাটা বগুড়া এক মহিলার নাম্বারে যেতো বলে এটি ও জানান সেই রেহেনা খাতুন ।