প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পিতা-মাতা দিবস অনুষ্ঠান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পিতা-মাতা দিবস অনুষ্ঠান
পিতা-মাতা দিবস অনুষ্ঠান

একজন শিক্ষার্থী থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আট ঘন্টা দেখাশোনা করতে পারি। বাকি ১৬ ঘন্টা সে বাড়িতে থাকে। বিদ্যালয়ের চেয়ে শিক্ষার্থী বাড়িতে বেশি সময় পাচ্ছে। বাড়িতে শিক্ষার্থী খেলাধুলা, টিভি দেখা ও মোবাইল ফোনসহ ইত্যাদি নিয়ে সময় ব্যয় করে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বাড়িতে পড়ার বিষয়ে জোর দিতে হবে। তাহলেই একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা জীবনে সফল হতে পারবে।


বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্রীপুরের (মাস্টারবাড়ী) গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে স্কুল মাঠে বার্ষিক পিতা-মাতা দিবস অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রভাষক মফিজুল ইসলাম বুলবুল এসব কথা বলেন।  


অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোন অভিভাবক তার শিক্ষার্থী সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দিবেন না। অধিকাংশ শিক্ষার্থী মোবাইল গেমে আসক্ত। তারা সারারাত গেম খেলার কারনে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। সন্তানের কাছে স্মার্টফোন দিলে তার আগামী শিক্ষা জীবনের সফলতায় বাধা সৃষ্টি করে দিলেন। আপনারা সন্তানকে সময় দিন। বর্তমান সময়ে অভিভাবকেরা বাচ্চাদেরকে সঠিকভাবে সময় দেন না। বিদ্যালয় থেকে আপনার সন্তানকে কি পড়া দেয়া হয়েছে তার সাথে আলোচনা করুন। বিকেলে তার সাথে ঘুরতে যান ও খেলাধুলা করুন। দেখবেন আপনার সন্তানের মোবাইল আসক্তি অনেকটা কমে যাবে। অন্তত সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে এসে সকল স্যারদের সাথে কথা বলুন। আপনার সন্তান নিয়মিত বাড়ির কাজ করছে কিনা খোঁজ নেন।


জাতীয় নদী রক্ষা কমিটি শ্রীপুর উপজেলা শাখার সদস্য খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন আহমেদ, আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবকে প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাতেন, সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ মিলন, গাজীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী হালিম উদ্দিন, গাজীপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য কাউসার শেখ কামাল, গাজীপুর জেলা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কাউসার আকন্দ রিফাত, অভিভাবক জুনায়েদ আব্দু শাকুর, মজিবুর রহমান শেখ, ইব্রাহিম মোড়ল, অ্যডভোকেট খন্দকার আরিফুজ্জামান, রাশিদুল হাসান জয়, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তারসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র ও ছাত্রীবৃন্দ।