ধামরাইয়ে অবৈধ সিসা কারখানা গুড়িয়ে দিল জনতা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২২


ধামরাইয়ে অবৈধ সিসা কারখানা গুড়িয়ে দিল জনতা
অবৈধ সিসা কারখানা গুড়িয়ে দিল জনতা

***সিসা কারখানা তৈরি তিন মাসে ৮ গরুর মৃত্যু, অসুস্থ অর্ধশতাধিক


****প্রশাসনের সাহায্য না পেয়ে এলাকাবাসীর উচ্ছেদ অভিযান


ঢাকার ধামরাইয়ে একটি অবৈধ কারখানায় পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করার কারণে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের এই প্রকট গন্ধে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে কারখানাটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।


শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী এলাকার অবৈধ সিসা কারখানাটি স্থানীয় লোকজন ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।


জানা যায়- প্রায় তিন মাস পূর্বে মো. আরিফ ও রুবেল দেওয়ান আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী এলাকার বটতলা একটি জমি ভাড়া নিয়ে সিসা কারখানা দেয়। কারখানাটি দেওয়ার পর তিন মাসের ভিতরে আশেপাশের ৮টি গরু মারা যায়। এছাড়াও অর্ধশতাধিক গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এবিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কোন ব্যবস্থা না নিলে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে অবৈধ কারখানাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।


ভুক্তভোগী গরুর চিকিৎসক এরশাদ আলী বলেন- আমি একজন পশু চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারি করে আসছি। ব্যাটারি ফ্যাক্টরি হওয়ার পর আমার নিজের দুইটা গরু মারা গেছে। এবং একটি মহিষ অসুস্থ। কিছুই খাইতে পারে না। যেকোন মুহূর্তে মারা যেতে পারে।


স্থানীয় কৃষক রাজা মিয়া বলেন- সিসা কারখানা তৈরির পর জমি থেকে ঘাস কেটে গরুকে খাওয়াতে পারি না। ফসলাদিও ঠিক মতো হচ্ছে। ভুট্টা গাছের পাতায় সিসার পরদ (আবরণ) পরে গেছে। সেই ঘাস ও ভুট্টা গাছের পাতা খাওয়ানোর পর আমার গরুটি মারা গেছে। পরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বিষয়টি জানাই।


ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান- অবৈধ সিসা কারখানাটি এলাকার কিছু খারাপ প্রকৃতির লোক টাকা খেয়ে আমাদের এলাকায় বসায়। তার পর থেকেই আশেপাশের এলাকার গরু রুগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পর কারখানাটি ভেঙে নেওয়ার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট জানাই। একাধিকবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নিলে এলাকার লোকজন অবৈধ সিসা কারখানাটি ভেঙে দেয়।


আমতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন- কারখানাটি এখান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য তিন তিনবার পরিষদ থেকে চৌকিদার পাঠিয়েছি। তারপরও সরিয়ে নেয়নি। পরে আজ নান্দেশ্বরী এলাকার লোকজন জুম্মা নামাজের পর ভেঙে দিয়েছে।