রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২২


রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী
বাগেরহাটে রাস্তার পাশে ময়লার স্তূপ- ছবি: জনবাণী

বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ পোলঘাট সড়কের পাশে মাঝিডাঙ্গা এলাকার বিশাল এলাকাজুড়ে ময়লার স্তূপ।  দুর থেকে দেখলে মনে হয় ময়লা-আবর্জনার বিশাল পাহাড় জমে আছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে ফেলা হয় এখানে। দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছেন পথচারীরা। রাস্তার পাশের এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধে চরম বিপাকে পথচারীসহ এলাকাবাসী।


জানা যায়, ২০১৯ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং প্লেস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তবে সাড়ে ৩ বছরে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। খোলা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। 


এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগিরই পরিবেশবান্ধব গার্বেজ সেন্টারের কাজ শুরু করা হবে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ পোলঘাট সড়কের পাশে মাঝিডাঙ্গা এলাকার বিশাল এলাকাজুড়ে ময়লার স্তূপ। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা এনে ফেলা হয় এখানে। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় ছাড়া কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারে অসম্ভব। 


পথচারী মো. আলামিন বলেন, ‘প্রতিদিন কাজের জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এখানে ময়লা ফেলায় পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। কারও পক্ষে নিশ্বাস নিয়ে এ রাস্তা পার হওয়া সম্ভব নয়। আমরা নাক বন্ধ করেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করি।


মাঝিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা কামরুন্নাহার বলেন, এই এলাকায় এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। দূর্গন্ধে খুবই কষ্ট হয় আমাদের। ‘বৃষ্টির সময় ময়লাযুক্ত পানি রাস্তায় চলে আসে। আমাদের বাড়িঘরেও এই ময়লা সে সময় প্রবেশ করে। তখন বাড়িতে থাকা দায় হয়ে দাঁড়ায়।’


স্থানীয় স্কুল শিক্ষিকা জামিলা খাতুন বলেন, আমাকে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়, বাগেরহাট শহরে এর চাইতে আর নোংরা ও দুর্গন্ধ যুক্ত যায়গা আর কোথাও নাই। 


এ বিষয়ে বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পৌরসভা নিজস্ব আইনে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। তারাই এর ব্যবস্থা নেবে। তবে কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা পৌরসভাকে চিঠি দেব।


বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা ৫ একর জমি কিনেছি। ওই জমির চারদিকে উঁচু দেয়াল দিয়ে পৌরসভার বর্জ্যকে আধুনিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে। এখানে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, কম্পোস্ট সার প্ল্যান্ট, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। দুই মাসের মধ্যে এসব কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।