চাষাবাদের অনিশ্চয়তায় চারশ একর জমি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২২


চাষাবাদের অনিশ্চয়তায় চারশ একর জমি
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চাষাবাদের অনিশ্চয়তায় চারশ একর জমি-ছবি: জনবাণী

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় প্রায় ৪০০ একর জমিতে বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নেই কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর।


জুড়ী উপজেলায় সাগরনাল ইউপি ৪০০ একর জমিতে বোরোসহ অনান্য ফসল আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন একটি সুইসগেটের অভাবে ৪০০ একর জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।


স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার অবহিত করা হলেও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলেনি, শুধু মাত্র আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। উপজেলার সাগরনাল ইউপিতে চলতি বোরো মৌসুমে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করে পানি আটকিয়ে ১৫০ একর পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হয়। কিন্তু সেখানে একটি সুইসগেট নির্মাণ করা হলে পুরো দমে এলাকাজুড়ে চাষের আওতায় আসবে।


শফিক মিয়া নামের এক কৃষক জানান, আমরা সাগরনাল থেকে নালার মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে বোরো চাষে ব্যর্থ হই। পানির স্তর নিচে নেমে গেলে জমি নষ্ট হয়ে যায়। জমির পাশে একটি সুইসগেট নির্মাণ হলে পানি সংরক্ষণ সম্ভব। আর সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করা যায়।


সাগরনাল গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, আমরা নিজেদের খরচে আমরা একটি বাঁধ নির্মাণ করেছি। আশা করছি এ মৌসুমে ১৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ হবে।


ভুক্তভোগী কৃষক বাচ্চু ভর, ফুল মিয়া, কমলাকান্ত, দাদু কেওট ও জগদীশ ভর জানান, দিনদিন যেখানে ধান-চালের দাম বাড়ছে, সেখানে আমাদের প্রায় ৪০০ একর জমি চাষের আওতায় নেই। আমাদের জমি এভাবেই পড়ে থাকছে। যদি এই জমিগুলো চাষের আওতায় ফিরানো হয় তাহলে অনেক পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে না। কেউ এই ধান বিক্রি করে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ চালাতে পারবে। একটি সুইসগেট হলেই আবার সবুজের সমারোহ দেখা যাবে।


সাগরনাল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রদীপ যাদব বলেন, স্লুইসগেটের বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শুধু আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পরে আমরা নিজ উদ্যোগে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছি।


জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, চাষিদের দাবি অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব রেখেছি। এখানে একটি সুইসগেটের প্রয়োজন রয়েছে। চাষিরা ইতোমধ্যে সেখানে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছে। এতে ওই এলাকায় ১৫০ একর জমিতে নতুন করে বোরো চাষ হবে। কর্তৃপক্ষের শুনজর থাকলে ভালো কিছু ঘটবে বলে আশা করি।