শ্রীপুরে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সাধারণ জনজীবন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২২


শ্রীপুরে  শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সাধারণ জনজীবন
শীতের তীব্রতা

বাংলাদেশের প্রকৃতিতে চলছে পাতা ঝরার দিন চলছে শীতকাল। পৌষের মাঝামঝি পেরিয়ে পৌষের শীত তোষের গায়, মাঘের শীতে বাঘ পালায় প্রবাদটির সাথে এবারের শীতের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে উত্তর মধ্য জনপদে। উপজেলার শ্রীপুরে  শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। উত্তরের হিমশীতল হাওয়ায় গত দুইদিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বত্র ঘনকুয়াশাসহ শীত জেঁকে বসেছে।


দিন-রাতের তাপমাত্রা কমছে ক্রমেই। সূর্য ডোবার পরপর থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। মেঘমুক্ত আকাশে জলীয় বাষ্পও কমে গেছে। সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমশীতল হাওয়া। এ হাওয়ায় শীত বৃদ্ধি পেয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমন শৈত্যপ্রবাহ দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে থেকে জানা গেছে। সব মিলিয়ে বাঘ কাঁপানো মাঘেরই আভাস দিচ্ছে।


স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে , সামনে ইংরেজি নতুন বছরের শুরু থেকে   ক্রমশ তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে উত্তর মধ্য জনপথে কনকনে শীতের আমেজ আরো বাড়তে পারে। কনকনে এমন শীতে এ অঞ্চলের জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে।


আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার  এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী এখনও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও উত্তরের হাওয়ার কারনে ভোর থেকেই অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত।


এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।  এখানকার মহাসড়কগুলোতে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যাচ্ছে। অপর দিকে শীতের কারণে সারাদিনই গরম পোশাক পরে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর জনবহুল শহর অনেকটাই শূন্য হয়ে পড়ছে।


দুদিনের শীতের তীব্রতায় এ উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাহিল হয়ে পড়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিকের দল যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। কনকনে এই শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ঃ৩০ মিনিট  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো সূর্যের দেখা মিলিনি।


আরএক্স/