বাগেরহাটে পান চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, ২রা জানুয়ারী ২০২৩


বাগেরহাটে পান চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা
পানের বরজ

বাগেরহাটে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে পান চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এবছরে তিনগুণ দাম বেশি পাচ্ছেন তারা। পান চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও নতুন করে পানের বরজ তৈরি করছেন নতুন পান চাষিরা। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চাষিদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন নতুন চাষিরা। এছাড়া, জটিল বিষয়ে কৃষি অফিসেও যাচ্ছেন তারা। 


খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এবারের ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের তেমন প্রভাব পড়েনি পানের বরজে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে পানের দাম কিছুটা ইদানিং বেড়েছে। ফলে গেলো বছরের চেয়ে এই বছরে পানের দাম বাজারে দিগুণ দাম বেশি। 


পান বাজার ঘুরে জানা যায়, এক পোন ঝারা পান (বড় পাতা) ৮০ পিচের এক পোন পাইকারি বাজারে যার মূল্য ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। খুচরা মূল্য ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। মাঝারি পান পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পোন। ছোট পান ২০০ থেকে ১৫০ টাকা পোন।


যাত্রাপুরের চাঁপাতলা গ্রামের পান চাষি মারুফ হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা করে তিনটি পানের বরজ আছে আমার। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত আমি পান চাষ করে আসছি। নিজের বরজে নিজেই সব কাজ করি। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পান পরিচর্যা করি। আমার বরজে ঝুট্টা ও কিছু গাটা জাতীয় পান আছে। এবছর পানের ফলন ভাল হয়েছে। অন্যান্য বছরে শীত কুয়াশায় পান নষ্ট হয়। কিন্তু এবছর কুয়াশা ও শীতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি পানের। প্রতি হাটে তিনটি বরজ থেকে প্রায় ৩০০ পোন পান বরজ থেকে নামাই আমি। পান চাষ ছাড়া অন্য কোন চাষাবাদ করি না। এটি চাষ করে ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব ভাল আছি।’


চিরুলিয়া বিষ্ণুপুর গ্রামের আরেক পান চাষি মোকবুল হোসেন বলেন, ‘পরিবার পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে পানের বরজের পরিচর্যা করে আসছি। এবছর আমার বরজে ঝাড়া পান বেশি পেয়েছি। পুরাতন পান শেষের দিকে। নতুন পানপাতা বের হতে শুরু করেছে। তবে কিছু ঝাড়া (বড়পাতা) পান আগালে রেখেছি ভাল দাম পাবো বলে। কয়েকদিন পর পানের বাজার আরও চড়া হবে। তখন ঝাড়া (বড়পাতা) পান নামাবো এবং বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে ভাল লাভ হবে।’