মুন্সিগঞ্জে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু!


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:১২ পূর্বাহ্ন, ৫ই জানুয়ারী ২০২৩


মুন্সিগঞ্জে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু!
নিহতদের স্বজনদের আহাজারি

মুন্সিগঞ্জ সদরে  এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।  এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাও এলাকার সেলিম মাহমুদের মেয়ে।


জেলা শহরের সরকারি এভিজেএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়স্কুলের এসএসসি বর্ষের শিক্ষার্থী জেসিকা (১৭) কে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।  তবে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক জানান, সন্ধ্যা ৬টা'র দিকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার ভাই পরিচয় দেওয়া আরেক যুবক। এসময় মেয়েটি অচেতন অবস্থায় ছিল। 


পরে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 


নিহতের বড় ভাই জিদান অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা'র দিকে প্রতিবেশী আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় ফোন দিয়ে জানায় আমার বোন হাসপাতালে আছে। সে তাদের বাসার ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরপর আমি দ্রুত হাসপাতালে এসে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বোনকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হই। পথিমধ্যে মুক্তারপুর সেতু পার হতেই দেখি তার শ্বাস-নিঃশ্বাস কাজ করছে না। এরপর আর তাকে ঢাকা না নিয়ে হাসপাতালে ফেরৎ আসি। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসক জানান সে মারা গেছে। 


তিনি বলেন, আমার বোন কিভাবে তাদের বাসার ছাদে গেল জানিনা। ওরা আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে বাসার ছাদে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলেছে। 


অভিযোগের বিষয়ে শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমার বাসার ছাদ খোলা থাকে। মেয়েটি কিভাবে আমার বাসার ছাদে উঠেছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমার বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে। এরপর শুনেছি সে মারা গেছে। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। 


সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের হত্যার অভিযোগ এবং প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য দুটি সূত্র ধরেই আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা নাকি  আত্মহত্যা।