৩১ শয্যার ভেতরেই ৫০ শয্যা রোগীদের চিকিৎসা

অপারেশন থিয়েটারের এসি নষ্টের ফলে ইনফেকশনের আশঙ্কা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, ৬ই জানুয়ারী ২০২৩


অপারেশন থিয়েটারের এসি নষ্টের ফলে ইনফেকশনের আশঙ্কা
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার ভিতরে চলছে ৫০ শয্যা রোগীদের চিকিৎসা। গুরুতর রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি, সেজন্য বেড না থাকায় অনেককে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে অপারেশন থিয়েটারের এসিও নষ্ট হয়ে পড়ায় জানালা ও দরজা খুলে অপারেশন করায় রোগীদের ইনফেকশনের চান্স বেশি থাকছে।প্রতিদিনই রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।


জানা যায়, ১৯৬৩ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয় ৩১  শয্যা বিশিষ্ট সরিষাবাড়ী হাসপাতাল। ২০০৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়।  ফলে ৩১ শয্যার ভিতরেই ৫০ শয্যা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  মাঝে মধ্যে শয্যা সংকট থাকায় রোগীদের জায়গা হচ্ছে মেঝে ও হাসপাতালের বারান্দায় । ২০২০ সালের বহির্বিভাগ এ  ৯৬৯৭৫,অন্তর্বিভাগে  ১৯০০০,জরুরী বিভাগে ২৪০০০ রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই সরিষাবাড়ী হাসপাতালের নতুন ভবনে এসিটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ডাক্তার ও রোগীদের। ২০২০ সালে ১৩১ জনকে সিজার, ছোট খাটো অপারেশন ৩০০২, স্বাভাবিক ১১১৭  জনকে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 


কথা হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবাশীষ রাজবংশী জানান, এসিটি নষ্ট হয়ে থাকায় গরমের সময় রোগী ও ডাক্তারদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 


এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী)  ডাঃ রাশেদা পারভীন মুন্নি এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে জানান, অপারেশন থিয়েটারের জন্য এসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এসিটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমাদের জানালা ও দরজা খুলে অপারেশন করতে হয়। আর হাসপাতালের সাথে প্রধান সড়কটি ২৪ ঘন্টাই যানবাহন চলাচল করে।  যার ফলে বাইরের বাতাসের সাথে  ধুলাবালি অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করছে। আর এতে রোগীদের ইনফেকশনের চান্স বেশি থাকে।


এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বদরুল হাসান জানান, স্বাস্থ্য সেবা থেকে তেমন বরাদ্ধ থাকে না। আমি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এম্পি স্যারের কাছে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছি ।তারা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেছেন। ৩১ শয্যার ভিতরে ৫০ শয্যার চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে।


জেবি/এসবি