প্রথম বৈঠকে বসেছে সার্চ কমিটি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক শুরু হয়েছে।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের
জাজেস লাউঞ্জে কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে এ
বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন সার্চ কমিটি সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
এস এম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী,
সরকারি কর্ম কমিশন চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন
এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
এর
আগে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের
নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে শনিবার
(৫ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।
নতুন
এ সার্চ কমিটির আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (কে এম নূরুল হুদার
নেতৃত্বাধীন) বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটিরও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন
করেছেন।
সার্চ
কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’
মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কার্য
সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ
প্রণীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের বিধান অনুযায়ী
এ সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল
ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সার্চ কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও
অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যপ্রণালি সম্পন্ন
করবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনীয় সাচিবিক
সহায়তা প্রদান করবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই
সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ
শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ওআ/