জাজিরায় সরিষা চাষে ঝুঁকছে কৃষক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, ৮ই জানুয়ারী ২০২৩
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩'শ ৮৫ হেক্টরেরও বেশি জমিতে সরিষার আবাদ করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশায় দিন গুনছে তারা। সরিষা তেলে ও খৈলের দাম বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষা চাষে ঝোক বেড়েছে এই কৃষকদের।
জাজিরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে এ উপজেলায় ২৫'শ ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৯'শ ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি -১৭, বারি -১৮, বিনা-৪, বিনা-৯ সহ স্থানীয় মাসি ও টারি -৭ জাতের সরিষা আবাদ করা হয়েছে সবচেয়ে বেশী। এসব উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষায় হেক্টর প্রতি ফলন আসে প্রায় ১ দশমিক ৬ মেট্রিকটন। বিঘা হিসেবে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৫ থেকে ৬ মন। বর্তমানে প্রতি মণ সরিষা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৫'শ টাকা থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে কৃষকের খরচ হয় মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তাই খরচ পুষিয়ে সরিষা থেকে ভালো লাভের আশায় সরিষা আবাদে ঝোঁক বেড়েছে কৃষকের।
জাজিরার বড় গোপালপুরের কৃষক মো: রফিক মাদবর বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এর আগে ওই জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করে ভালো লাভ করেছি। সবজি চাষে যে সার দিয়েছিলাম তাতেই সরিষা হবে। সরিষা চাষে আলাদা কোন সার দেয়ার লাগবে না। শুধু একবার সেচ দিতে হবে। তাই আমার খরচ অনেক কম হবে। আশা করি সরিষাতেও বাম্পার ফলন হবে।
সেনের চর এলাকার কৃষক জামাল মাদবর জানান, সরিষা চাষে তেমন কোনো শ্রম দিতে হয়না। এক-দুবার সেচ এবং সামান্য সার দিলেই হয়। তাই উৎপাদন খরচও কম। এ বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো। এমন দাম পেলে খরচ পুষিয়ে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জামাল হোসেন জানান, দেশে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। সরিষা সহ অন্যান্য তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সার ও উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বীজ বিতরণ করেছি আমরা। উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের সাথে কৃষকদের পরিচয় করিয়ে দেয়ায় এখন সরিষা আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছে কৃষক। আমাদের লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী সরিষার আবাদ হয়েছে এ উপজেলায়। আশা করি এবার বাম্পার ফলন সরিষার।