ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

মৌলভীবাজারে হাওড়ে বোরো চাষের ধুম


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩


মৌলভীবাজারে হাওড়ে বোরো চাষের ধুম
ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

মৌলভীবাজারের সব কটি হাওড়সহ দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ে বোরো চাষের ধুম পড়েছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষাবাদ করছেন চাষিরা। প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণের কারণে এ বছর বেশি পরিমাণে বোরো চাষের কথা বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।


ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরম যত্নে জমি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। কেউ বা আবার বীজতলার হালিচারা উঠিয়ে তা জমিতে রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিরা কারো সঙ্গে কারো কথা বলার ফুরসত নেই। এ বছর বোরো ফসলের অধিক ফলনের লক্ষ্যে হাওড়-বহির্ভূত ও হাওড়ের ৪২ হাজার চাষিকে প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এ তিন উপজেলায় দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ে ১৫ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষাবাদ হচ্ছে। একইভাবে বোরো চাষাবাদ হবে মৌলভীবাজার সদর ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিস্তৃত হাইল হাওড়ের ৪ হাজার ৭৮৬ হেক্টর জমিতে।


কৃষি বিভাগ জানান, জেলার ছয়টি হাওড়ের ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে ২৫ হাজার কৃষক বোরো চাষাবাদে জড়িত রয়েছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, এ বছর প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।


হাইল হাওড়ের বোরোচাষি সুজিত, বিধু শীল, কাওসার মিয়ার, তারা জানান, সার-বীজ পেয়ে তারা তাদের জমি প্রস্তুতের কাজে হাত দিয়েছেন। এরই মধ্যে হাওড়ের অনেক চাষি চারা রোপণ করছেন। কেউবা আবার জমি তৈরির কাজ করছেন। তাদের আশা, কোনো রকম বৈরী আবহাওয়ার সম্মুখীন না হলে এ বছর বোরোর ভালো ফলন পাবেন তারা।


কাওয়াদিঘি হাওড়পাড়ের চাষি আলমগীর, রুবেল জায়গিরদার, মুহিবসহ আরও কয়েকজনের, তারা জানান, মনু নদী প্রকল্পের সেচের পানি বিলম্বে আসায় চাষাবাদ একটু পিছিয়েছে। তবে অনেকেই বিনা মূল্যে সার-বীজ পেয়ে খুশি। আবার সার-বীজ না পাওয়ার অভিযোগ করেন বেশ কিছু চাষি।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানান, হাওড়াঞ্চলে ৫০ হেক্টর জমিতে এরই মধ্যে চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ৫৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।


আরএক্স/