বড়াইগ্রামে হত্যা: কলেজ শিক্ষককে আসামী করায় নিন্দা ও ক্ষোভ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩
নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক হত্যা মামলায় লুৎফর রহমান নামে এক কলেজ শিক্ষককে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কলেজ শিক্ষক স্থানীয় রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। হত্যাকান্ডের দিন ও সময়ে তিনি তার কর্মস্থল বনপাড়া ডিগ্রি কলেজে উপস্থিত ছিলেন বলেও প্রমাণ মিলেছে। তদুপরি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় উপজেলার কলেজ শিক্ষক ও সহ সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ অপরাজনীতি ও মিথ্যা মামলায় আসামী করায় নিন্দা জানিয়ে এই মামলা থেকে ওই কলেজ শিক্ষককে দ্রুত অব্যহতি দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষক পরিষদ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও এলাকার সুশীল সমাজ। লুৎফর রহমান বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের বিএম শাখার বাংলা বিভাগের প্রভাষক।
জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার নগর ইউনিয়নের মশিন্দা গ্রামের দু'পক্ষের সংঘর্ষে বেল্লাল হোসেন (৬৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ২৭ জন ও অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনের নামে মামলা করে নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। মামলায় ওই কলেজ শিক্ষককে ৭ নং আসামি করা হয়। এ ঘটনার সাথে কোনরূপ সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় রাজনীতির কালো ইশারায় তাকে অপরাধী বানানো হয় ও হত্যাকান্ডের পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর রাতে মশিন্দা দক্ষিণ পাড়াস্থ ওই শিক্ষকের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় তারা বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে ফ্রিজ, টেলিভিশন ও ৫০ মণ ধান লুট করে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, অগ্রহণযাগ্য মামলা দিয়ে কোন শিক্ষককে হয়রানী করলে শিক্ষক পরিষদ তা যথাযথ উপায়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নাটোর জেলা আহ্বায়ক সাংবাদিক অমর ডি কস্তা জানান, অযথা নিরপরাধ মানুষকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হলে তা আইন-আদালত সমর্থন দিবে না। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলাকারীও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে বলে আদালত নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করবে। এক্ষেত্রে কোন নির্দোষই মামলার আসামীর আওতায় আসবে না।
জেবি/এসবি