শ্রীনগরে আলু জমির যত্নে ব্যস্ত কৃষক,বুনছে লাভের স্বপ্ন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জানুয়ারী ২০২৩


শ্রীনগরে আলু জমির যত্নে ব্যস্ত কৃষক,বুনছে লাভের স্বপ্ন
আলু চাষীরা

শ্রীনগরে নানা চ্যালেঞ্জ সত্বেও লাভ লোকশানের হিসেব কষে এবারও আলু চাষ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আলুর চারা গাছে জমি ঢাকা পড়তে শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে, আগাছা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও জমিতে পানি দেওয়া হচ্ছে। কাঙ্খিত ফলনের লক্ষ্যে জমির সার্বিক পরিচর্যা ও যত্নে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন স্থানীয় আলু চাষীরা। 


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে কৃষকের কর্মযজ্ঞ চলছে। এর মধ্যে উপজেলার বীরতারা, কুকুটিয়া, তন্তর ও আটপাড়া ইউনিয়নে আলুর চাষ হচ্ছে বেশী। গেলো ২ মৌসুমে অসময়ের বৃষ্টিতে জমি নষ্ট, অতিরিক্ত খরচ করে পুনরায় আলুর চাষাবাদ করে ফসলের কাঙ্খিত ফলন ও দাম না পাওয়ায় এ অঞ্চলের আলু চাষীদের লোকশানের মুখ দেখতে হয়েছে। 


লোকশানের চিন্তা মাথায় নিয়ে এবারও তারা আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। বর্তমানে খোলা বাজারে আগাম নতুত আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। এছাড়া হিমাগারের পুরনো আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা করে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জমিতে আগাছা-জঙ্গল পরিস্কার কাজে নারী শ্রমিকের পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকরা কাজ করছেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, সকাল-দুপুর জমিতে এ কাজের জন্য মজুরী পাচ্ছেন ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। 


শ্রমিক মো. নিজাম, মো. লিটন, জাহাঙ্গীর জানান, প্রতি গন্ড (৭ শতাংশ) আলু জমিতে পানি সেচের জন্য খরচ নিচ্ছে দূরত্ব ভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এর মধ্যে কৃষক চাইলে চুক্তি ভিত্তিক এ কাজ করছেন তারা। বীরতারা এলাকার আবুল হোসেন নীলচাঁন, কুকুটিয়া এলাকার আলম মোল্লা, আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই বলেন, লোকশানের কিছুটা কাটিয়ে উঠতে এবারও আলু চাষ করছেন। 


এ বছর আলু চাষের ভরা মৌসুমে জমিতে জলাবদ্ধতার ফলে জমি চাষাবাদে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হন। মৌসুমের প্রথম দিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে সমস্যার সম্মূখীন হন তারা। প্রতি কানি জমিতে (১৪০ শতাংশ) আলু চাষে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ ধরা হচ্ছে। এতে সব খরচ বাদে জমিতে প্রতিমণ আলু উৎপাদণে খরচ পড়বে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। 


শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানান, এ বছর ফসলী জমির জলাবদ্ধতা নিরসণে দ্রুত ভিত্তিতে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ চাষে ফসলের আশানুরূপ ফলনের লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।