শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জানুয়ারী ২০২৩


শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা
মাছের মেলা

করোনাভাইরাস জনিত কারণে দুই বছর পর সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’ শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় এই মেলার। করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গেল দুই বছর এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে বৃহস্পতিবার থেকে বসতে শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা।


শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মাছের মেলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এরইমধ্যে মাছের আড়ৎদাররা মাছ নিয়ে এসেছেন। মজুত করে রাখা হয়েছে ছোট-বড় নানা জাতের মাছ। আছে বোয়াল, চিতল, আইড়, রুই, কাতল, সিলভার কার্প, পাঙাশ, মাসুল, বাঘাইড় ইত্যাদি। 


মেলাকে কেন্দ্র করে মৎসব্যবসায়ীরা প্রস্তুত করছেন বড় বড় দোকান। নানা ধরনের গৃহস্থালি ও বিভিন্ন ধরনের আসবাব, সৌখিন জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনার পুতুল, টাট্টু ঘোড়া নিয়েও বসেছেন অসংখ্য দোকানি।


অপরদিকে কাঠের তৈরি খাট, আলমিরা, আলনাসহ আরও নানা জাতের বাসনকোসন ও আসবাবপত্র নিয়েও বসেছেন কয়েকজন দোকানি। মেলায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামীকাল থেকে মেলায় ভিড় বাড়বে।


উল্লেখ্য, পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে মাছের মেলার প্রচলন শুরু হয় প্রায় ২শত বছর পূর্বে। ঐ এলাকায় প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে আয়োজন করা হয় ‘মাছের মেলা’ নামের এই মেলা। শুরুতে ওই মেলাটি সদর উপজেলার মনুমুখ এলাকায় হলেও পরবর্তীতে মেলাটি উপজেলার শেরপুরে স্থানান্তরিত হয়।


মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর ও মনু, ধলই, কুশিয়ারা, সুরমা নদীসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন পুকুর-দীঘি, খাল-বিল, নদ-নদী হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতিবছরই বসে এ মেলা। মৎসজীবিরা এই মেলায় মাছ বিক্রির জন্য ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। এই মাছগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় পানিতেই বাঁচিয়ে তাজা রাখা হয়।