বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত পীর হাবিব
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
জ্যেষ্ঠ
সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
হয়েছে।
সোমবার
(৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায়
শায়িত করা হয় তাকে
এর
আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পীর হাবিবুর রহমানের মৃতদেহ সুনামগঞ্জ পৌরসভা চত্বরে নিয়ে
যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ব্যক্তিগতভাবে অনেকে
খ্যাতিমান এ সাংবাদিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জানা
গেছে, সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের (পুরাতন কোর্ট মসজিদ) ঈদগাহে বাদ জোহর পীর
হাবিবুর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫
আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, পীর হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই সুনামগঞ্জ-৪ আসনের
সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট প্রমুখ।
পরে
বিকেল সাড়ে ৩টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ি কুরবান নগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পীর হাবিবুর
রহমানের মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
দীর্ঘদিন
ধরে ক্যানসার, কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন পীর হাবিব। গত ২২ জানুয়ারি করোনায়
আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পীর হাবিবকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে
করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার স্ট্রোক
হলে স্থানান্তর করা হয় ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে।
গত
বছরের অক্টোবরে ভারতের মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের
মাধ্যমে ক্যানসারমুক্ত হন তিনি।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষক ও কলাম লেখক পীর হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ
শহরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৮৪ সাল থেকে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। দীর্ঘ কর্মজীবনে
দৈনিক বাংলাবাজার, যুগান্তর, মানবকণ্ঠ, আমাদের সময় পত্রিকায় কাজ করেছেন। অনলাইন নিউজ
পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের প্রতিষ্ঠাতা পীর হাবিব সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রতিদিনের
নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ওআ/