হাটহাজারীতে দুগ্ধ ও খামারে সম্পদ হরিলুট
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৩
হাটহাজারীতে দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামারের সম্পদ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। দুগ্ধ ও গবাদিপশুর উন্নয়ন খামারের সংরক্ষিত গাছ বাগান থেকে আকাশমনি ও বেলজিয়াম জাতের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে পাচার করেছে একটি চক্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত চার পাঁচদিন আগে এসব গাছ কেটে খামারের প্রধান ফটক দিয়ে চাঁদের গাড়ি (জীপ)করে পাচার হয়। অথচ গাছ কাটার বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে প্রথম শুনেছেন বলে দাবি করেন উপপরিচালক মলয় কান্তি মোদক।
এদিকে গত ২০১৭ সালেও একই ভাবে সরকারী দুগ্ধ খামার থেকে প্রায় ১০০গাছ কেটে পাচার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংবাদ প্রকাশের জের ১৩জন কর্মচারীও বদলি হয়েছিল তখন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আবারো খামারের প্রায় অর্ধশত আকাশমনি ও বেলজিয়াম গাছ কেটে পাচার করেছে। এই কাজে খামারে কর্মরত কিছু কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন খামারে দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মলয় কান্তি মোদক।
প্রায় ৮২একরের জায়গায় অবস্থিত দুগ্ধ ও গবাদি পশু খামারের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিনব কৌশলে এ গাছগুলো কেটে পাচার করা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয় কোন টেন্ডার তো দুরের কথা বিষয়টি খামার কতৃপক্ষ অবহিত নয় দাবি উপ-পরিচালকের। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়,কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে খামারের গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খামারের পশ্চিমাংশে গাছ কেটে কাটা অংশ মাটি ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিচালক মলয় কান্তি মোদক বলেন, আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। সিকিউরিটি কোথায় প্রশ্ন করলে উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা আমার এরিয়া নয় এটা কেন্দ্রীয় কৃত্রিমপ্রজনন ল্যাব কাম বুল স্টেশনের। খামারের ফটক দিয়ে গাছ পাচার হয়নি বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে কেন্দ্রীয় কৃত্রিমপ্রজনন ল্যাব কাম বুল স্টেশনের উপ-পরিচালক মোস্তফা কামালের কাছে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে খামারের দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল্কম্যান বলেন, সর্বমোট ৮২ একর জায়গা নিয়ে দুগ্ধ ও গবাদিপশুর উন্নয়ন খামার। এখানের সব জিনিসের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। বর্তমানে ল্যাব নির্মিত হলেও তাদের সীমানা প্রাচীর রয়েছে। কাটা গাছের বাগানটি খামারের।
রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে লুটপাটে জড়িয়ে যায় তখনি সরকারীরের এ সম্পত্তির কি অবস্থা হবে এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনসাধারন।
আরএক্স/