ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৩
ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় শামসুদ্দিন (৫৫) নামে এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত শামসুদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্তা সরকার আসামীর উপস্থিতিকে এই রায় দেন।
প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সঞ্জিব সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত রফিজ উদ্দিন জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাঢি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আসামী শামসুদ্দিন ও রফিজ উদ্দিন প্রতিবেশি।
ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১০ মে রফিজ উদ্দিন আসামী প্রতিবেশি শামসুদ্দিনের বাড়ির সামনে বসে বাশের চাঁটাই বুনন করছিলেন। এসময় রফিজ উদ্দিনের স্ত্রী তাকে গুড়ের খুরমা খেতে দেন। খুরমা খেয়ে রফিজ উদ্দিনের পানির বিপাশা লাগলে শামসুদ্দিনের রান্না ঘর থেকে এক গ্লাস পানি পান করেন। কেন তার রান্না ঘরে ডুকে পানি পান করল এসব নিয়ে দু'জনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসুদ্দিন লোহার শাবল দিয়ে রফিজ উদ্দিনের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে রফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে শামসুদ্দিন শাবল নিয়ে পালাতে চাইলে বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে ফকিরগঞ্জ বাজারে গেলে মোস্তফা নামে একজন তাকে আটকায়। পরে শামসুদ্দিন তাকে আটকানোর কারণে মোস্তফাকেও শাবল দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা শামসুদ্দিন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর ওই দিন শামসুদ্দিনকে আসামী করে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে শামসুদ্দিন কারাগারেই ছিলেন। মামলার ৭ বছর পর আসামীর উপস্থিতিতে আদালত শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীবন সাঁজা দেন।
আরএক্স/