কক্সবাজারে নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপির যৌথ মহড়া
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৩
প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবি ও বিজিপির যৌথ টহল পরিচালিত হয়েছে; এতে উভয় দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি স্ব-স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টিত হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন নাফ নদীর হোয়াইক্যং থেকে জালিয়ারদ্বীপ পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকায় এ যৌথ টহল পরিচালিত হয় বলে জানান বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
এর আগে গত ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী এবং গত বছর জুলাই মাস হতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভুদ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে প্রায় তিন বছর বিজিবি ও বিজিপির যৌথ টহল বন্ধ ছিল।
বিজিবি জানিয়েছে, যৌথ বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এবং বিজিপির ১ নম্বর পিইন পিউ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইয়ে ওয়াই শো'র নেতৃত্বে ১২ সদস্যের টহলদলের নেতৃত্ব দেন।
লে. কর্ণেল শেখ খালিদ বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মানবপাচার, মাদকপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি পেশাদারিত্বের সাথে বিজিবি দায়িত্ব পালন করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক, প্রীতি খেলাধুলার আয়োজন এবং যৌথ টহলসহ নানা তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
" কিন্তু করোনা মহামারি ও সীমান্তে উদ্ভুদ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে গত প্রায় তিন বছর ধরে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে যৌথ টহল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে সীমান্ত সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। "
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, " সীমান্ত সুরক্ষায় গত ৩০ অক্টোবর টেকনাফে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এতে বিজিবি-বিজিপি সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারির যৌথ টহলের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাফ নদীতে আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ মহড়া পরিচালিত হয়। "
" এর ফলে নাফ নদীর যেসব দ্বীপগুলোতে চোরাকারবারি ও দুষ্কৃতিকারি দল অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার করতো যৌথ টহলের কারণে স্ব-স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টা পাবে। এতে অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষিত হবে। "
ভবিষ্যতেও সীমান্তে যৌথ মহড়া কার্যক্রম পরিচালনায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্মতি প্রকাশ করেছে বলে জানান লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
আরেএক্স/