বিল না দিয়ে জমি অধিগ্রহণ, মালিকদের বিক্ষোভের মুখে মেট্রোরেল কর্মকর্তারা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিল না দিয়ে জমি অধিগ্রহণ, মালিকদের বিক্ষোভের মুখে মেট্রোরেল কর্মকর্তারা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অধিগ্রহণকৃত মেট্রোরেল ‌‘এমআরটি লাইন ১’ এর  বিল না দিয়ে সীমানা বুঝিয়ে নিতে এলে জমি মালিকদের বাঁধা ও বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন জেলা প্রশাসন ও মেট্রোরেল  কর্মকর্তারা। এ সময় স্থানীয় জমি মালিকরা অধিগ্রহনকৃত জমির সঠিক বিল পরিশোধের দাবিতে কর্মকর্তাদের সামনেই দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেন জমির মালিকরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভ ও বাঁধার মুখে জেলা প্রশাসন ও মেট্রোরেল  কর্মকর্তারা চলে যান। 

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দাবী, কারো বাঁধা নয় বরং প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে এসেছিলেন তারা।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, সামসুল হক মুন্সি, আমিনুল ইসলাম ঝিনু, আব্দুল আউয়াল ভুইয়া, মনিরুজ্জামান ভুইয়াসহ আরো অনেকে। 

বক্তারা বলেন, আমরা সরকারে উন্নয়নের অংশিদার হতে চেয়েছি, তাই জমি অধিগ্রহণ করায় খুশি হয়েছিলাম। তবে জমির মুল্য বুঝে না পেয়ে জমি ছেড়ে দেব তা মেনে নেবনা। আমাদের জমির ৮০ ভাগ বিল পরিশোধ না করা হলে আমরা জমি ছাড়বো না। ৩২০ বিঘা জমি থেকে মাত্র ২ বিঘার বিল দিয়ে পুরো জমি নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখা বুঝে নিতে চায় এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও জমি মালিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। জমির বিল না দিয়ে জমি থেকে আমাদের তুলে দিলে কোথায় যাবো? বরং বিল দিলে ওই বিল দিয়ে অন্য এলাকায় জমি কিনে ঘর বাড়ি করতে পারবো। এখন ওই বিল না দিয়ে জমি বুঝে নিতে চাইলে কোন ক্রমেই দেয়া হবে না। এছাড়া আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছি। ওই রিটের রায় না আসা পর্যন্ত তাদের জমি নিতে দেব না। 

বক্তারা আরো বলেন, অধিগ্রহণ এলাকায় কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসাসহ ৬ শতাধিক ঘর বাড়ি রয়েছে। এসব ঘর বাড়িসহ সরকার অধিগ্রহণ করেছেন। কিন্তু এখনো বিল বুঝিয়ে দেয় নাই।  ফলে এসব প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করতে আগে বিল প্রয়োজন। অথচ মেট্রোরেলের লোকজন জেলা প্রশাসনের লোকজন নিয়ে জমি বুঝিয়ে নিতে আসছে। এতে আমরা জমি মালিকরা  চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। 

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এডিসি রাজস্ব তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা রূপগঞ্জের মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে গিয়েছি। কারো বাঁধার শিকার হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবী দাওয়ার কথা শুনেছি। আনুষ্ঠানিক তাদের দাবী লিখিতভাবে জানালে বিষয়টি সুরাহার করা হবে। 

মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ১ এর ডেপুটি সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জমি বুঝে নিতে আসিনি। পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। জমি মালিকদের সঙ্গে সব বিষয় সমাধান করা হয়েছে। 

এসএ/