দম ফেলার সুযোগ নেই জার্সি তৈরী কারখানায়


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪


দম ফেলার সুযোগ নেই জার্সি তৈরী কারখানায়
ছবি: প্রতিনিধি

বছরের শেষে শীতে মাঠঘাট শুকোতেই দেশে ধুম পড়ে ব্যাটমিন্টন, ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানান খেলাধুলার। এসময় স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে এলাকা ভিত্তিক সংগঠন এবং কলকারখানার তরুণদের মধ্যে পছন্দসই আকর্ষণীয় জিজাইন ও নিজের নামের জার্সি গায়ে তুলার হিড়িক পড়ে।ফলে বাড়তি চাপ দেখা দেয় জার্সি তৈরী কারখানাগুলোতে।  


আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাতি তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ


রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরসহ আশপাশের কয়েকটি জার্সি তৈরী কারখানা ঘুরে দেখা যায় চরম ব্যস্ততা। কথা বলে জানাযায়, ডেলিভারি সিডিউল সমস্যা জনিত কারনে অনেক বড় অর্ডারও ছেড়ে দিতে হচ্ছে তাদের।


জার্সি তৈরী কারখানার মো. সুজন আহমেদ জানান, শুধু নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসেই আনুমানিক তিনি ৩৫ হাজার পিছ জার্সি ডেলিভারি দিয়েছেন। এখনোও তার হাতে ৭ হাজার জার্সি ডেলিভারির সিডিউল দেয়া আছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আনুমানিক ৫০ এর অধিক নতুন অর্ডার নিচ্ছি। এবং ২০ থেকে ৩০ টা অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারতেছি। যার মধ্যে বেশির ভাগই ১২ থেকে ১৫ পিসের সেট।  তিনি জানান, আপাতত ইমার্জেন্সি বা ২ সপ্তাহের আগে ডেলিভারি দেয়ার মতো কোন অর্ডার নিচ্ছেন না তার প্রতিষ্ঠান। দৈনিক ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা অনেক সময় ২০ ঘন্টা কারখানা চালু রেখেও জার্সি ডেলিভারি দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাই বর্তমানে শ্রমিকদের কারখানাতেই ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।


মোঃ সুজন আহমেদ জানান, তার কারখানাটিতে প্রধানত ৩ ধরনের জার্সি কাপড়ের অর্ডার নেয়া হয়। সেলাই মজুরিসহকারে ৩৫০, ৩৮০ ও ৫০০ টাকার জার্সি কাপড় রয়েছে তার কাছে। যেখানে ৬ টা আলাদা সাইজে গ্রাহক জার্সি তৈরী করাতে পারবেন।


আগত জার্সির অর্ডার করতে আসা মো. সামী জানান, একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অংশ নিচ্ছেন তিনিসহ তার বন্ধুরা। তাই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী খেলোয়ারদের নাম সংবলিত ১৫টি জার্সির অর্ডার দিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু কাজের চাপ বেশি থাকায় ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই তিনি এ বিষয়ে বন্ধুদের মতামত জানার পরই অর্ডার দিবেন।


অন্যদিকে জার্সির অর্ডার নিতে এসে অপেক্ষায় মান আরেকজন গ্রাহক আব্দুর লতিফ জানান, একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য তিনি ১৬ টি জার্সির অর্ডার দিয়েছিলেন। আজকে ডেলিভারির দিন থাকলেও এখনো সেলাইয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে তিনি এখানেই অপেক্ষা করছেন। 


আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে পুলিশ


মো. সুজন আহমেদ আরো জানান, সারা বছরই তারা জার্সিসহ ট্রাউজারের অর্ডার নিয়ে ২/৩ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিয়ে থাকে। তবে শীতের সময় তাদের ব্যবসার সিজন। এসময় কারখানার ডিজাইনার কারিগর শ্রমিকদের দম ফেলার সুযোগ থাকে না। এসময় ঘড়ি ধরে কাজ করেন না তারা। বছরের অন্যান্য সময় তারা পাইকারি ব্যবসায়ীদের অর্ডারের বিভিন্ন দেশ ও ক্লাবের জার্সি ট্রাউজার তৈরী করলেও সিজনের সময় শুধু নিজেদের কারখানার অর্ডার নিয়েই কাজ করেন।


এসডি/