জবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপিত


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৩


জবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপিত
জবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপিত। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব সরস্বতী পূজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট , ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীহল এবং পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট ৩৭টি মণ্ডপে উদযাপিত হয়েছে এ পূজা।


বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে বিভাগ ভিত্তিক আলাদা আলাদা মণ্ডপে পূজা উদযাপন করে সনাতনী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ পূজার আয়োজন করা হয়।


সকাল থেকে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, পূজা দেখতে ভিড় করে দর্শনার্থীরা। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। ভিড়ের মধ্যে চারদিকে গানের লহমায় হঠাৎ একদল নাচতে নাচতে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পূজা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ঢাকের তালে আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো ক্যাম্পাস।


এদিকে মণ্ডপগুলোতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বিদ্যার দেবী সরস্বতীর সামনে প্রার্থনা করেন। প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই আলাদাভাবে নেচে-গেয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। সব বিভাগের আয়োজন ছিল নজরকাড়া। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের সাথে হিন্দু বন্ধুদের কুশল বিনিময় করতেও দেখা যায়।


পূজা উদযাপনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ পূজামন্ডপসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, করোনার কারণে গত বছর কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মণ্ডপ করা হয়েছিল। এবার বিভাগ ও হলসহ ৩৬ টি মণ্ডপে সরস্বতী পূজা অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একটি সম্প্রীতির মিলনমেলা সৃষ্টি হয়েছে। এ যেন এক অসাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন,‘সরস্বতী পূজার মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোতে যাত্রার প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সারা বিশ্বের অন্ধকার দূরীভূত হবে এবং আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য প্রার্থনা করা হয়। এদিন আমরা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।


এ আয়োজনে নিরাপত্তা ছিল প্রবল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সাথে সাথে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার ছিল তৎপর।


নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সুন্দরভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও পুলিশ বাহিনী কাজ করেছে। ক্যাম্পাসের তিনটি স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।