তুরাগ তীর উদ্ধার, পিলার ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
তুরাগ নদীর সীমানা দখল করে গড়ে উঠেছে অন্তত অর্ধশত বালুমহাল। গোপনে পাইপ দিয়ে নদী থেকে চলে বালু উত্তোলন। বিভিন্ন জায়গাতে ভেঙে ফেলা হয়েছে নদীর সীমানা পিলার।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের অভিযানে এসব অবৈধ বালুমহাল উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
গাবতলী থেকে আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন পযন্ত তুরাগ নদীর তীরভূমি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের ঢাকা জেলার রুপনগর থানার দেউল মৌজায় এ অভিযান চলে। এক্সকাভেটরের আঘাতে ভেঙে পড়ছে অবৈধ বালুমহাল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ড্রেজার পাইপ। এর ঠিক কয়েকগজ দূরেই গোপনে সরঞ্জাম সরাতে দখলদারদের তৎপরতা চলে। তাড়া দিয়ে সরিয়ে দেন আনসার সদস্যরা।
তুরাগ নদের সীমানা দখল করে মিরপুরের বেড়িবাঁধ থেকে আশুলিয়ার ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত গড়ে ওঠা অর্ধশত অবৈধ বালুমহালে বিআইডব্লিউটিএর দ্বিতীয় দিনের অভিযানে দেখা যায় এসব চিত্র।
অভিযানে ২০টির মতো বালুর গদি উচ্ছেদ করা হয়। ধ্বংস করা হয় প্রায় বারশত ফুট ড্রেজার পাইপ। উদ্ধার করা হয় ২ একর জায়গা। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হাতে ইতোমধ্যে তুরাগ নদের ৩০টির বেশি সীমানা পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি বিআইডব্লিউটিএ’র।
বিআইডব্লিউটি’এর যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলী বলেন, ‘পিলারগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। এক পিলার থেকে আরেক পিলার পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যাতে তারা এরমধ্যে আসতে না পারে। যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর সীমানা থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দুই ধাপে টানা ৮ দিন অভিযান চালাবে সংস্থাটি। উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি আছেন নৌ-পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযান শেষে অবৈধ বালু মহালের শত শত টন বালু নিলামে তোলা হবে।’
আর এইচ/