চুরির অপবাদে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চুরির অপবাদে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

মেহেরপুরের গাংনীতে টাকা চুরির অভিযোগে বাদল হোসেন(১২) নামে এক শিশুকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার।

বাদল হোসেন মটমুড়া ইউনিয়ানের মহাম্মদপুর গ্রামের গাইনপাড়া ভাদু হোসেনের ছেলে ও হাজী ভরষউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।

শিশুর মা আশফিয়ারা খাতুন জানান, আমার ননদের ছেলে আদম ব্যবসায়ী পলাশ হোসেন(৩০)এর গত মঙ্গলবার ৭হাজার টাকা চুরি হয়। আমার ছেলে বাদল হোসেনকে সেই টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে বেধড়ক নির্যাতন করে। পেটাতে পেটাতে একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে গেলে পরে পলাশের মা হামিদা খাতুন আরো একটি গাছের ডাল এনে দেয় আমার ছেলে বাদলকে পেটানোর জন্য। পলাশ ক্ষমতাশালী হাওয়াই আমরা স্বামী স্ত্রী  ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এখনও এ পরিবারের ভয়ে আমরা থানায় অভিযাগ দিতে পারছিনা।

তিনি আরো জানান, পরে আমরা স্থানীয় গ্রামবাসীর সহয়তায় তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আদম ব্যাপারী পলাশ একজন ভয়ংকর লোক। এর আগে একটি মামলায় জেল খেটে বাড়িতে এসেছে। 

এ বিষয়ে আদম ব্যবসায়ী পলাশ হোসেন বলেন, বাদল আমার মামাতো ভাই। সে প্রায় সময় আমার দোকান থেকে টাকা চুরি করে। মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বাদল আমার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের টপকিয়ে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে এনে আমার বাবা মায়ের সামনে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছি। এতে শরীরে কয়েকটি স্থানে কেটে গেছে।
 
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম জানান, শিশুটির শরীরে ফোলা জখমের দাগ রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জনবাণীকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি,লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএ/