ড্রিপ সেচ পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ, লাভবানের স্বপ্ন কৃষকের


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


ড্রিপ সেচ পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ, লাভবানের স্বপ্ন কৃষকের
ড্রিপ সেচ পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ

ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলা জায়লস্কর ইউনিয়ন দক্ষিণ বারাহিগুনি গ্রামে প্রথম ড্রাগন চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক খুরশীদ আলম । দীর্ঘবছর প্রবাসে থাকার পর দেশে এসে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করায় এলাকায় কৃষক ও উদ্যোক্তার মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন এ ফলন উৎপাদনে।


জানা যায়, প্রবাস ফেরত মো.খুরশীদ আলম যার একটি পায়ের সমস্যা নিয়েও ইউটিউব চার্জ করে ও কুমিল্লার এক ড্রাগন বাগানীর সাথে যোগাযোগ করে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত ২০২২ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে কুমিল্লা থেকে চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেন। দাগনভূইয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে সেখানে ড্রিপ সেচ প্রদর্শনীর আওতায় আনেন। সেখানে সাবমারসিবল পাম্প, ওভারহেড, পানির ট্রাংকসহ ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন সংযোগ করা হয়। এতে সেচ পানির অপচয় ও খরচ কমিয়ে ফলনের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, স্বল্প সময়ে বাগানে প্রতিটি গাছের গোড়ায় ফোঁটা ফোঁটা পানি নিস্কাশনের সুবিধা পাচ্ছেন অনায়াসে। ৩০ শতাংশ ভূমির উপর সাড়ে পাঁচশত অধিক ড্রাগন গাছে পরিচর্যা, কৃষি সম্প্রসারণের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে আগামী কয়েক মাসে তিনি ভালো ফলন হলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন। প্রাথমিক পুঁজির পরিমান পাঁচ লাখ দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তিনি ব্যাপক লাভবান হবেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তাগন। ড্রাগন চাষাবাদের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন যান আগ্রহী উদ্যোক্তা ও কৃষকগন।


কৃষক মো. খুরশীদ আলম জানান, দীর্ঘবছর প্রবাসে থাকার পর একটি পায়ের সমস্যা নিয়ে অনেক কষ্ট করে ড্রাগন চাষাবাদ করা আমার স্বপ্ন ছিলো। বাস্তবে নিজ জায়গায় করতে পেরে আনন্দিত তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ যদি সহযোগীতা না করতেন তাহলে হয়তো সম্ভব হতো না এজন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।


দাগনভূইয়া কৃষি কর্মকর্তা মহি উদ্দিন মজুমদার জানান, তিনি ড্রাগন চাষে স্বপ্ন দেখতেন বিদেশ থেকে কিন্ত দেশে এসে তা বাস্তবে রুপান্তরিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সর্বাত্নক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান ছাড়াও ড্রিপ সেচ আওতায় ড্রাগন চাষাবাদ হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদে কৃষক লাভবান হবেন এবং অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছেন।


জেবি/এসবি