হাঁস পালন করে সাবলম্বী প্রতিবন্ধী রোকেয়া


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


হাঁস পালন করে সাবলম্বী প্রতিবন্ধী রোকেয়া
হাঁস পালন করে সাবলম্বী প্রতিবন্ধী রোকেয়া

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বাঘোপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রোকেয়া বেগম বিদেশি জাতের পিকিং হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দুঃখের সংসারে বইছে এখন সুখের সুবাতাস। 


জানা গেছে, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের বাঘোপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রোকেয়া বেগম স্থানীয় এক বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ৫০টি পিকিং জাতের হাঁস নিয়ে ২০২১ সালে শুরু করেন হাঁস পালন। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন হাঁসের খামার। ছোট বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার পর ডিম ও হাঁস বিক্রয় করেন বাজারে। এভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে হাঁসের খামার থেকে ভালো মুনাফা পেয়েছেন তিনি। 

এক সময় অভাব অনটনে সংসার চলতো না। কিন্তু হাঁস পালনের মাধ্যমে কয়েক বছরেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন রোকেয়ার পরিবার।


খামারি রোকেয়ার বড় ছেলে রাকিব জানায়, হাঁস খামারের যাবতীয় কাজে আমিসহ পরিবারেই সবাই মিলে মাকে সহায়তা করি। হাঁসের খামার থেকে প্রতি মাসে যে টাকা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার অনেক ভালো চলে।


স্থানীয়রা বলেন, আমাদের গ্রামের প্রতিবন্ধী রোকেয়া বেগম হাঁস পালনের মাধ্যমে তার পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। তার এই হাঁস পালন দেখে এলাকার অনেকেই এখন হাঁসের খামার গড়ে তুলেছে।


স্থানীয় বড়তারা ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, রোকেয়া বেগম একজন প্রতিবন্ধী। তারপরেও তিনি হাঁস পালন করে পরিবারে সফলতা এনেছে। তার দেখাদেখি এখন আমাদের এলাকায় অনেক হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। 


উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার সাগরিকা কাজ্জী বলেন, বাঘোপাড়া গ্রামের রোকেয়া বেগম তার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে হাঁস পালনের মাধ্যমে পরিবারে সফলতা এনেছে। প্রতিবন্ধী মানুষও যে কিছু করতে পারে সেটি রোকেয়া বেগম দেখিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি আশপাশের আরো অনেকেই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছে। আমরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সবসময় তদারকি করছি তাদের যে কোন ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। সেই সাথে যদি কেউ নতুন হাঁসের খামার গড়ে তুলতে চায় এবং আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো।