কর্তৃপক্ষের অবহেলা, কাজের রাস্তায় অকাজের সেতু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কর্তৃপক্ষের অবহেলা, কাজের রাস্তায় অকাজের সেতু

এমন চিত্র নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের খুড়াইখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটির। ১২ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতু নির্মাণ হলেও এখন আর তা কাজে আসছে না। দুই পাশে অ্যাপ্রোচের মাটি সরে যাওয়ায় ছয় বছর ধরে সেতুটির ওপর দিয়ে যান চলাচলসহ লোকজনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুটি অকেজো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইনিয়নের ১০/১২টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২৬ লাখ দুই হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর-বারেউড়া সড়কের খুরাইখালী খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়।


স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতপুর-বারেউড়া সড়কটি তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ১০/১২টি গ্রামের সংযোগ সড়ক। দুই কিলোমিটার সড়ক প্রায় ২৫ হাজার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ সড়কে যাতায়াতের সুবিধার্থে খুরাইখালী খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক বছর পরই অ্যাপ্রোচের মাটি সরে অকেজো হয়ে পড়ে সেতুটি। ফলে সেতুটি কাজে আসছে না এ রাস্তায় যাতায়াতকারীদের। যাতায়াতকারীরা আর কোনো উপায় না পেয়ে সেতুটির পাশের ফসল রক্ষা বাঁধের স্লুইচ গেট দিয়ে চলাচল করছেন। স্লুইচ গেটটি হুমকির মুখে পড়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা রিকন মিয়া, আজিদ মিয়া, আবুল, সাফায়েতসহ অনেকই জানান, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়নে ২০/২৫ হাজার মানুষ দৌলতপুর-বারেউড়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কয়েক বছর ধরে খুড়াইখালী খালের সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। পাশের ফসল রক্ষার বাঁধের স্লুইচ গেট দিয়ে যানবাহনসহ লোকজন যাতায়াত করেছে। এতে স্লুইচ গেটটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।



তিয়শ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, দৌলতপুর-বারেউড়া সড়কের খুরাইখালী খালের সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় অকেজো হয়েছে। লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে মাটি ভরাটের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ জানান, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর অ্যাপ্রোচের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। খুরাইখালী খালের সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ/