রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে চুপ্পু, পাবনায় উৎসব


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে চুপ্পু, পাবনায় উৎসব
উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা পাবনা

দিনব্যাপী আনন্দ মিছিল ও পাড়া মহল্লায় মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা পাবনা জেলা। 


রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে পাবনার কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়ন পাওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা শহরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।


আওয়ামী লীগের মিছিলটি জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফুটপাতের দোকানসহ পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।


এ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন স্থান থেকে কিছুক্ষণ পর পর আনন্দ মিছিল বের করছে। পাবনা থেকে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।


জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, পাবনার জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন। প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যোগ্য, বিনয়ী ও চমৎকার একজন মানুষ। তার মনোনয়ন পাওয়াতে আমরা গর্বিত।


পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি বলেন, ১৯৭৪ সালে শেখ মনির অনুরোধে বঙ্গবন্ধু সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি করেন। তিনি বরাবরই পাবনার মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক চিন্তা ও কাজ করেছেন। তার মতো ব্যক্তির মনোনয়ন পাওয়া পাবনার সর্বস্তরের মানুষের জন্য গর্ব ও আনন্দের।


সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়ন পাওয়ায় বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তার সহপাঠী ও বন্ধুরা। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাবনার বিশিষ্ট সমাজসেবক মোক্তার হোসেন জানান, প্রথম শ্রেণি থেকে এসএসসি, এইচএসসি একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি আমরা।মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছি। আমি জানি, চুপ্পু কতটা উদার ও ভালো মনের মানুষ। সে সবসময়ই দেশ ও মানুষকে নিয়ে ভাবতো। তার রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন পাওয়া একজন যোগ্য মানুষের পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।


বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।  ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে আছেন।


এদিকে, জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রবিবার একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনিই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।


আরএক্স/