খালে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ, বিপাকে শরণখোলার বোরো চাষীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খালে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ, বিপাকে শরণখোলার বোরো চাষীরা

বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি রেকর্ডীয় খালের একাংশ ব্যক্তি মালিকানা দাবী করে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করেছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছোট ভাই। ফলে সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত এ জনপদের দুই শতাধিক চাষী এবার বোরো চাষ থেকে বঞ্চিত হবার পথে রয়েছেন। খাল থেকে নিয়মিত পানি ওঠা-নামা করতে না পারা এবং পানি সংরক্ষণ করতে না পারায় তাদের বোরো চাষ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে  স্থানীয় পানি ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান খান সহ অর্ধশত চাষী স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ৪ নং রায়েন্দা ওয়ার্ডের মৃত আঃ মজিদ হাওলাদারের পুত্র ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই মোঃ কামরুল ইসলাম শরণখোলা ৩৫/১ পোল্ডারের সুইসগেট (এফএস-৭) সংলগ্ন এলাকায় সরকারী রেকর্ডীয় খালের একাংশ নিজের দাবী করে অনৈতিক ভাবে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেন। ফলে খাল দিয়ে ঠিকমত পানি ওঠানামা করতে না পারায় অসংখ্য চাষীদের বোরো চাষ  অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভুক্তভুগী চাষীরা অনতি বিলম্বে অনৈতিক ভাবে দেয়া বাঁধ কেটে দিয়ে খালটি পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং বোরো ও আমন চাষীদের জন্য এ খালটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে। ব্যাক্তি স্বার্থে এটিতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ  খামখেয়ালী মুলক। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, খালে বাঁধ দিয়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি একটি স্বেচ্ছাচারীতা। এ খাল চাষীদের সুবিধার্থে পরিষদের মাধ্যমে বহুবার কাটা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত  মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, অনৈতিক ভাবে কিছু করা হয়নি। পৈত্রিক জমিতে তিনি মাছের চাষ করেছেন শুধু।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওয়াসীম উদ্দিন জনবাণীকে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগোর আলী স্যারকে নিয়ে বিবাদমান খাল এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বিবাদীর মালিকানাধীন কিছু জমি খালের মধ্যে রয়েছে তাই তিনি বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করেছেন। তবে চাষীদের স্বার্থে তাঁর খাল কেটে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ। আমরা জনস্বার্থে খাল কেটে দেয়ার জন্য  মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।

এসএ/