শহীদ দিবস উপলক্ষে বিএসএমএমইউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০০ পূর্বাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


শহীদ দিবস  উপলক্ষে বিএসএমএমইউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বিএসএমএমইউয়ে আলোচনা সভা

“আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবস” স্মরণে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর উদ্যোগে “ভাষা আন্দোলন” বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের নব জাগরণ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব কনভেনশন হলে সভা অনুষ্ঠিত হয়।


উক্ত আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মেহের আফরোজা চুমকি, এমপি।


সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোঃ কামরুল হাসান মিলন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু গবেষক, বাংলা একাডেমী পদকপ্রাপ্ত জনাব সুভাষ সিংহ রায়।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসপাতালে রোগীদের সেবাদানে নার্সদের আরো সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। তিনি বলেন, রোগীদের দেখার দায়িত্ব অ্যাটেন্ডারদের নয়, নার্সদের। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আমরা অনেকটা বিপরীত চিত্র দেখতে পেরেছি। রোগীরা যেন ঠিকমতো সেবা পায়, সেজন্য ডাক্তার নার্সদের মধ্যে সম্পর্ক আরো ভালো হতে হবে। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবা  নিশ্চিত করতে হাসপাতালের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বড় কাজ। করোনার পাশাপাশি ভ্যাকসিন পাওয়া ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। তবে সরকার সেটি সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে। চিকিৎসকদের পদোন্নতি বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তার মাধ্যমেই এ জাতি স্বাধীনতা পেয়েছে। আমরা যে কথা বলতে পারছি, সেটি বঙ্গবন্ধুর কারণেই। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে স্বাধীনতার পর মাত্র তিনটি বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর স্বপ্ন ছিল কেউ গৃহহীন থাকবে না, বিনা চিকিৎসা কেউ মারা যাবে না । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। 


বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তখন জেলে, তার শরীর খারাপ। তিনি অনুমতি নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হলেন। কিন্তু তিনি শুধু হাসপাতালে শুয়ে বসে থাকেননি, ভাষা আন্দোলন বিষয়ে নেতাদের দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেই ছাত্ররা আন্দোলনের মাধ্যমে ভাষা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। একটা মহল জাতির পিতার এ ভূমিকা লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবদান কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু মাতৃ ভাষা বাংলার অধিকার আদায় করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুই বাংলা ভাষার মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে।


আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখসহ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, স্বাচিপের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সদস্য ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


জেবি/এসবি