জুড়ীর ৬৫ টি বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫৭ অপরাহ্ন, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


জুড়ীর ৬৫ টি বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার
ছবি: জনবাণী

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৬৫টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। ফলে শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালনের তেমন সুযোগ নেই এসব বিদ্যালয়ে।


উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে  ৯ টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। এছাড়া দাখিল, আলিম, ফাজিল পর্যন্ত ৮ টি মাদ্রাসার মধ্যে শুধু মাত্র হযরত শাহখাকী (রঃ) ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শহিদ মিনার রয়েছে। অপর প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই শহিদ বেদি।


এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ না করে আলোচনা সভা কিংবা মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে এসব দিবসগুলো পালন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণে সরকারি কোন বরাদ্দ নেই বলেও জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ, ব্যক্তি উদ্যোগ, টিআর, জেলা পরিষদের বরাদ্দ কিংবা অন্যান্য বরাদ্দ দিয়ে কয়েকটি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবসে নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী শহিদ মিনার।


উপজেলার দিগলবাক সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে বাঁশ দিয়ে সাজিয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করেছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের সহযোগিতায় সুন্দর সেই শহিদ মিনারে নজর কেড়েছিল সবার।


উপজেলার রতনা চা বাগান সরকারি  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, কলা গাছ, বাঁশ দিয়ে বিদ্যালয়ে সবাই শহিদ মিনার তৈরি করে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ বা শ্রদ্ধা নিবেদন করি আমরা। একটি স্থায়ী শহিদ মিনার প্রয়োজন। তিনি বলেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি, আশা করি বরাদ্দ পাবো।


ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের দেওয়া বরাদ্দ টিআর দিয়ে তারা ৪ টি বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছেন। তাদের ইউনিয়নে আরও যে কয়েকটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নেই, আগামী বরাদ্দে সেগুলোর শহিদ মিনার তারা করে দিবেন।


জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে শহিদ মিনার নির্মাণের কোন বরাদ্দ নেই,আগামীতে পরিষদের বরাদ্দ থেকে শহিদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।